অনলাইন ডেস্ক, ৯ জানুয়ারি।। ভারতে সরকারিভাবে করোনা সংক্রমণে যত লোকের মৃত্যু দেখানো হয়েছিল তার থেকে ৬/৭ গুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে। এই দাবি আইআইটি আহমদাবাদ ও টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট- আহমেদাবাদের গবেষকদের একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের ক্রমবর্ধমান কোভিড -১৯ মৃত্যু সরকারিভাবে যা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল তার চেয়ে ছয় থেকে সাত গুণ বেশি ছিল।একই দাবি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। দলটি গবেষণার জন্য ১.৪লাখ ব্যক্তির পাশাপাশি সরকারি তথ্যের একটি স্বাধীন সমীক্ষা ব্যবহার করেছে।
তারা ২০২০ এবং ২০২১ তরঙ্গের সময় কোভিড মৃত্যুর হারকে সমস্ত কারণ থেকে প্রত্যাশিত মৃত্যুর সাথে তুলনা করেছে। বৃহস্পতিবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এই সমীক্ষাটি উপসংহারে পৌঁছেছে এই বলে যে ভারতের কোভিড মৃতের সংখ্যা ৩১ লাখ থেকে ৩৪ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। যার মধ্যে ২৬ লাখ থেকে ২৯ লাখের মৃত্যু ঘটেছে এপ্রিল এবং জুলাই ২০২১ এর মধ্যে।
একটি স্বাধীন এবং দুটি সরকারী ডেটা উৎস ব্যবহার করে ভারতে কোভিড মৃত্যুর পরিমাণ নির্ধারণ করেছে ওই গবেষক দল দু’টি।
এদিকে আইআইটি মাদ্রাজের একটি বিশ্লেষণে পূর্বাভাস মিলছে, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছে যাবে।
এই বিষয়ে আইআইটি মাদ্রাজের গণিত বিভাগের প্রফেসর ডঃ জয়ন্ত ঝাঁ জানিয়েছেন, আর-নট ভ্যালু মূলত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সংক্রমণের সম্ভাবনা, কতটা ছড়াচ্ছে সেই হার এবং কতটা সময়ের ব্যবধানে এই সংক্রমণ ঘটছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
অধ্যাপক জয়ন্ত ঝাঁ আরও বলেন, “এই বিশ্লেষণমূলক গবেষণা থেকে আমরা আশা করছি, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের গ্রাফ শীর্ষে যেতে পারে। আমাদের বিশ্লেষণ থেকে এটিও বোঝা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী ঢেউয়ের তুলনায়, এবারের ঢেউয়ে সংক্রমণের বৃদ্ধিতে গ্রাফ তীব্র হবে।”