অনলাইন ডেস্ক, ২৯ ডিসেম্বর।। ইউক্রিন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনায় বসতে রাজী হয়েছে। মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি এই আলোচনায় বস্তে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র।
রাশিয়া গত কয়েকমাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে সৈন্য সংগ্রহ করছে, যা ২০২২ সালের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণের প্রস্তুতি বলে ধারণা করছে মার্কিন গোয়েন্দারা। শনিবার(২৫ ডিসেম্বর)রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাদের দশ হাজার সৈন্য তাদের ঘাঁটিতে ফিরে গেছে।
রাশিয়াকে বারবার সতর্ক করছে বাইডেন প্রশাসন। ইউক্রেনকে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা অনুসরণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই মাসের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে এই আলোচনার আবেদন করেছিলেন জো বাইডেন।
রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর থেকে সুরক্ষা দাবি করে আসছে, যার মধ্যে বাধ্যতামূলক অঙ্গীকার যে ন্যাটো আর ইউক্রেনের সামরিক সামরিক জোটে জোর দেবে না।
বাইডেন অবশ্য এর আগেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো বা ইউক্রেনের কোন বিষয়ে ভবিষ্যতে ছাড় দেবে না।
ইউক্রেনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ন। দুটি ট্র্যাকের পেছনের জোটকে এক করলে আসে প্রতিরোধ ও কূটনীতি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে যে পরিণতিই আসুক না কেনো আমরা তাতে ঐক্যবদ্ধ। রাশিয়ার সাথে নীতিগত কূটনীতিতে জড়িত এনএসসি মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন।
এনএসসি এর মুখপাত্র এবং ন্যাটোর একজন প্রেস অফিসার উভয়েই সিএনএন কে নিশ্চিত করেছেন যে রাশিয়া এবং ন্যাটোও ১২ জানুয়ারিতে পৃথক পৃথক বৈঠক করতে চায়।