স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর।। আজ সকালে রাজধানী অাগরতলার গোর্খাবস্তি সংলগ্ন প্রজ্ঞা ভবনের বিপরীত দিকে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান ভবনে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ড্রিংকিং ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন (পি.ডাব্লিউ.ডি) ত্রিপুরার উদ্যোগে এক স্বেচ্ছায় মহতী রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, রক্তদান হচ্ছে মহৎ দান। আজ যেসকল সরকারী কর্মচারীরা স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সমাজের কল্যাণে ও মানব কল্যাণে কিছু করতে পারলেই মানব জীবনে স্বার্থকতা আসে। ‘কোভিড-১৯’ মহামারীর সময়ে যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন তাদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।
রক্তদান জীবন বাঁচায়। যাদের রক্তের প্রয়োজন আছে তারা যাতে সময়মত সুলভে উৎকৃষ্ট রক্ত পান তা সুনিশ্চিত করতে রক্তদানে আমাদের আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত ভাবে রক্ত নিয়ে সুস্থ থাকতে হয়। তাই ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে টাটকা রক্তের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
আমি সকল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা,সরকারী /বে-সরকারী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের কাছে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে জরুরী ভিত্তিতে আমাদের প্রয়োজনে ব্লাড ব্যাংক গুলোতে রক্তের মজুতের পরিমান সঠিক মাত্রায় বজায় থাকে। এর জন্য অনেক বেশি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির সংগঠিত করার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
রক্তদানের মাধ্যমে মানবিক কার্যকলাপে অনুপ্রেরণা,উৎসাহ এবং উদ্যোগী হওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হতে হবে। মানুষের জীবন বাঁচানো মনুষ্যত্বের একটি বড় দিক। আজকের এই মহতী রক্তদান শিবিরে যাঁরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এবং রক্তদান করার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
রক্তদানের মতো মহৎ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সকল স্তরের সরকারী কর্মচারীরা নিজেদের সামাজিক দ্বায়িত্ব পালনে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন, এই প্রত্যাশা রইলো। আজকে যাঁরা স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে এসেছেন তাঁদের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন মন্ত্রী।