অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বর।। করোনা প্রতিরোধে এবার ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ছাড় পেল কর্বেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্স (Corbevax, Covovax) । একইসঙ্গে অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ মলনুপিরাভিরেও অনুমোদন দিয়েছেন সিডিএসসিও। ট্যুইট করে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
কর্বেভ্যাক্স ভ্যাকসিন ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে RBD প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন। হায়দরাবাদ ভিত্তিক ফার্ম বায়োলজিক্যাল-ই এই টিকা তৈরি করেছে। এদিকে ন্যানো পার্টিকেল ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স তৈরি করছে পুণে-ভিত্তিক ফার্ম সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানান, কর্বেভ্যাক্স ভারতে তৈরি প্রথম ‘আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন’। হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিকাল-ই এটি তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনের হাত ধরে টিকা তৈরিতে হ্যাটট্রিক করল ভারত। এটি ভারতে তৈরি তৃতীয় টিকা।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ন্যানোপার্টিকাল ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স তৈরি করছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। শুধু এই দুই ভ্যাকসিনই নয়, মলনুপিরাভির হল একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। কোভিড-১৯ আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য এবং যাদের রোগের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে তাদের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে সীমাবদ্ধ ব্যবহারের জন্য দেশের ১৩টি কোম্পানি এখন এই ওষুধ উৎপাদন করবে। তবে এর ব্যবহার রেসট্রিকটেড। জরুরি পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত পূর্ণ বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করা যাবে।
এদিন যে তিনটি ওষুধকে করোনা নিয়ন্ত্রণে অনুমোদন দেওয়া হল, তিনটির তিনরকম কাজ রয়েছে। অর্থাৎ তিনটি উদ্দেশ্য সাধন করবে সে কথা মাথায় রেখেই এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মলনুপিরাভির ওরাল অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ। এটা ভ্যাকসিন নয়। যেভাবে কোনও ভাইরাল-ইস্যু হলে আমরা ওষুধ খাই, মলনুপিরাভির সেই একইভাবে কাজ করবে।
করোনা এখনও দেশ থেকে বিদায় নেয়নি। তার মধ্যেই এসে জুটেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ২১টি দেশে এই ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পার করেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের আরও দুটি ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে ছাড় অবশ্যই একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।