অনলাইন ডেস্ক, ২৭ ডিসেম্বর।। মুসলিমদের গণহারে হত্যা করতে হবে। হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে একথা বলেছিলেন নরসিংহানন্দ গিরি। বাকি গেরুয়াধারীরাও কমবেশি সকলেই বিদ্বেষের কথাই আওড়েছেন। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রবিবার এফআইআরে কেবলমাত্র আরও দু’জনের নাম যুক্ত করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ।
ডিজি অশোক কুমার জানিয়েছেন অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কিন্তু কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। বিদ্বেষী গেরুয়াধারীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা দেওয়া হচ্ছে না কেন?
এর জবাবে ডিজি বলেন, ‘ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হবে কিনা, তা তদন্তের বিষয় নয়। এটি নির্ভর করছে মামলার ওপর। আমরা এর আইনগত দিকটিও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’ ডিজির এমন বক্তব্য শুনে স্বাভাবিকভাবেই অনেকেরই অভিযোগ আসলে বিদ্বেষী প্রচারকদের আড়াল করা হচ্ছে।
এই ধরণের মন্তব্য কোনও সংখ্যালঘুর মুখ দিয়ে উচ্চারিত হলে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা দায়ের তো হতই, অবিলম্বেই তাকে গ্রেফতার করা হত। আর সেটাই হওয়া উচিত ছিল।
হরিদ্বার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ ধারায় (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) মামলা দায়ের করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের জেল।
২৩ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া এফআইআর-এ শুধুমাত্র ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর নাম ছিল। উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রিজভি সম্প্রতি হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
রবিবার, পুলিশ অন্নপূর্ণা মা ওরফে পূজা শকুন পান্ডের নাম এফআইআরে যুক্ত করেছে। নিরঞ্জিনী আখড়ার ‘মহামন্ডলেশ্বর’ শকুন পান্ডে হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক। বিহারের বাসিন্দা ধরমদাস মহারাজের নামও যুক্ত হয়েছে এফআইআরে।
ধর্ম সংসদে শকুন পাণ্ডে বলেছিলেন, হিন্দুদের উচিত বই ফেলে দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া। অভিযুক্ত ধর্মদাস মহারাজ হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ‘ভারতে ৫০০ পাকিস্তান রয়েছে।সেখানে হিন্দুদের কোনও আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে হত্যার কথা বলেছিলেন তিনি।