স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৭ ডিসেম্বর।। ইংরেজি বিষয় শিক্ষিকাকে ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়াতে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে গণধর্না এবং বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনা তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক এর অধীন তারা চাঁন রুপিনি উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয় সোমবার সাড়ে দশটা নাগাদ।
স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের অন্তর্গত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা স্বল্পতার কারণে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা লাটে উঠেছে। তারমধ্যে বিদ্যালয়ের বিষয় শিক্ষক- শিক্ষিকাদের ডেপুটেশনের নিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয় পরিদর্শক।
তাই তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক এর অধীন তারা চাঁন রুপিনী উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিষয় শিক্ষিকাকে ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়াতে এবং বিষয় শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকায় কারণে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস পূর্বে বিদ্যালয় এর ইংরেজি বিষয় শিক্ষিকা তথা নিবেদিতা দাস কে ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফলে ৯ অক্টোবর ছাত্র-ছাত্রীরা ইংরেজি বিষয় শিক্ষিকা নিবেদিতা দাস কে অন্যত্র ডেপুটেশনের নিয়ে যাওয়াতে বিদ্যালয়ের তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে যদিও তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এক সপ্তাহের মধ্যে ইংরেজি বিষয় শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আনা হবে।
পরে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় পরিদর্শক কাছ থেকে আশ্বাস পেলে বিদ্যালয়ের তালা খুলে দেয়।ছাত্র ছাত্রীর অভিযোগ দীর্ঘ মাস পেরিয়ে গেলেও ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে আনা হয়নি। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা সোমবার 10:30 নাগাদ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিদ্যালয়ে রেখেই বিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষিকাকে পুনরায় বিদ্যালয়ে নিয়োজিত করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের আরো দাবি বিদ্যালয় পরিদর্শক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে দেওয়া কথা রাখতে পারেনি। ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগ ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষিকা নিবেদিতা দাস কে ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়াতে বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের পঠনপাঠন লাটে উঠেছে।
এদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিমত ডেপুটেশনের নিয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নিবেদিতা কে পুনরায় বিদ্যালয়ে আনতে হবে। এদিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান বিদ্যালয়ের তরফ থেকে বিদ্যালয়ের এস এম সি কমিটি কে বারবার জানানো হয়েছিল।
বিদ্যালয়ের এস এম সি কমিটি বারকয়েক বিদ্যালয় পরিদর্শক এর কাছে বিষয়টি জানিয়ে থাকলেও কর্ণপাত করেনি বিদ্যালয় পরিদর্শক। বিগত সপ্তাহে এসএমসি কমিটির পক্ষ থেকে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষিকাকে পুনরায় বিদ্যালয় আনার জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শক সহ ডিউ জানানো হয়েছিল।
সে সময়ও বিদ্যালয় পরিদর্শক এর কাছ থেকে উত্তর একটাই আগামী সপ্তাহে বিদ্যালয়ে সে শিক্ষিকাকে পুনরায় আনা হবে।সে বিষয়টি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানায়। কিন্তু এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বিদ্যালয় পরিদর্শক ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষিকাকে পুনরায় এই বিদ্যালয়ে নিয়োজিত করেনি।
এখন দেখার বিষয় ইংরেজি বিষয় শিক্ষিকা নিবেদিতা দাসকে কবে নাগাদ পুনরায় বিদ্যালয়ে নিয়োজিত করতে পারে বিদ্যালয় পরিদর্শক। আর যদি তাই না হয় তবে সেই কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা ইংরেজি বিষয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে পড়বে।