অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। ইরানের আধা-সামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ভূমি থেকে ভূমিতে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে পাঁচ দিনের সামরিক মহড়ার সমাপ্তি টানল। একে ‘চিরশত্রু’ ইসরায়েলের জন্য সতর্ক বার্তা হিসেবে উল্লেখ করছে দেশটি।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ শুক্রবার জানায়, দেশটির দক্ষিণ জুড়ে চলা সামরিক মহড়ার সময় নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ছিল এমাদ, গদর, সেজ্জিল, জালজাল, ডেজফুল ও জোলফাঘর।
তাদের আক্রমণ সীমা সাড়ে ৩শ’ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার। রাষ্ট্রীয় টিভি মরুভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দেখায়। জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি টেলিভিশনে জানান, ইহুদিবাদী শাসকদের সাম্প্রতিক হুমকির জবাব দেওয়ার জন্য এই মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ষোলোটি ক্ষেপণাস্ত্র নির্বাচিত লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করেছে। বিদেশি হামলা মোকাবিলায় এমন শত শত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই মহড়াকে ‘ইহুদিবাদী শাসকদের জন্য গুরুতর সতর্কতা’ বলে উল্লেখ করেন আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেন সালামি। আরও বলেন, সামান্য ভুল করলে আমরা তাদের হাত কেটে দেব।
২০১৫ সালের ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বিরোধিতার মাঝে এ মহড়ার খবর এলো।
এর আগে বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে দেখা করেন।