স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৫ ডিসেম্বর।।
একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে ৬ জনের বসবাস। ঘটনাটি অবাস্তব মনে হলেও বাস্তবে এটাই সত্যি। দরিদ্রতা যাদের নিত্যসঙ্গী তাদের সুখের আশা করা খুবই কষ্টকর।
ঘটনাটি আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের অধীন ৪৫মাইল এলাকার জাতীয় সড়কের পাশেই অবনী দেববর্মার বসবাস। ভগ্নদশা গ্রস্থ ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে অবনী দেববর্মা তার পরিবারের ৬জন সদস্যকে নিয়ে বসবাস করেন কায়ক্লেশের মধ্য দিয়ে। পারিবারিক রেশন কার্ড APL ভুক্ত। আর রেশন কার্ডে ৩জনের নাম লিপিবদ্ধ থাকলেও অবনী বাবুর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬জন।
তবে গোটা পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি হলেন অবনী দেববর্মা। আর উনার আয়-উপার্জনের মাধ্যমটি হলো বনাঞ্চল থেকে বাঁশ কাটা। আবার নিত্যদিন কাজকর্মও থাকে না বলে জানান, অবনী দেববর্মা। দরিদ্র অবনী দেববর্মা প্রায় ৫বছর পূর্বে প্রশাসন থেকে একটি সরকারি ঘর পেয়েছিল।
কিন্তু অভাবের তাড়নায় সেই ঘরটি বিক্রি করে দিয়ে বর্তমানে ৪৬মাইল এলাকায় একটি ভগ্নদশাগ্রস্থ কুঁড়ে ঘর তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন। এডিসি প্রশাসন থেকে রেগার কাজ দিলেও অবনী দেববর্মার কপালে সেই কাজ জোটে না বললেও চলে। যদিও অবনী দেববর্মা রাজ্য সরকারের দেওয়া রেশন সামগ্রী পান।
কিন্তু উনার রেশন কার্ডটি APL ভুক্ত হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন গুজরান করে চলছেন। তাই পারিবারিক রেশন কার্ডটি যাতে BPL ভুক্ত এবং আবারও একটি সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য দাবী জানান, দীন দরিদ্র অবনী দেববর্মা রাজ্য প্রশাসন এবং এডিসি প্রশাসনের কাছে।