অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ বিপত্তিতে পড়েছেন। ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের কারণে কভিড বিধিনিষেধের সরাসরি প্রভাব পড়েছে বড়দিনের ঘোরাঘুরিতে। স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কড়াকড়ির পাশাপাশি ইউরোপের অনেক দেশ বাতিল হয়েছে নির্ধারিত ফ্লাইট।
বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মপ্রধান দেশগুলোতে ভ্রমণ ও কেনাকাটা বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়। কিন্তু করোনার নতুন ধরন বাগড়া দিল এবারও।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইতালি, স্পেন ও গ্রিসে আবারও ঘরের বাইরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস আগেই কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে, উত্তর স্পেনের কাতালোনিয়ায় রাতের বেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওমিক্রন অন্য যেকোনো ধরনের চেয়ে কম ভোগান্তির। কিন্তু এটি ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।
বৃহস্পতিবার করোনার রেকর্ড সংক্রমণ দেখা গেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালিতে।
ফ্রান্স সপ্তাহখানেক আগেই যুক্তরাজ্য থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা সাম্প্রতিক ডেল্টা ধরনের শীর্ষ তরঙ্গকে ছাড়িয়ে গেছে, হাসপাতালগুলো ভরে গেছে রোগীতে।
গত সপ্তাহে আমেরিকার সংক্রামক রোগের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি জানান, পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া থাকলেও বড়দিনের ঘোরাঘুরিতে ওমিক্রন দ্রুত ছড়াবে।
ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, করোনার সংক্রমণের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইউএস এয়ারলাইনস জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকেই তার কর্মী সংকটে ভুগছে। অনেক কর্মীরই করোনা পজিটিভ এসেছে বা কেউ কেউ নিভৃতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এ দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে শুধু আঞ্চলিক পর্যায়ের শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।