অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর।। দেশে বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক। উদ্বিগ্ন মোদি সরকার। এই পরিস্থিতিতে আজ সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বিশেষ বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা।
এই মুহূর্তে ভারতের ১৫টি রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১৩।
ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবারই রাজ্যগুলিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, করোনার ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রন অনেক বেশি পরিমাণে সংক্রামক।
তিনগুণ গতিতে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে রাজ্যকে আগাম তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৈরি রাখতে হবে ওয়ার রুম। সামান্যতম সংক্রমণের খবর পেলেও সেই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশজুড়ে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা কোনও যাত্রীর কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। আর যদি তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে তাঁকে আর গন্তব্যে যেতে দেওয়া হবে না। বরং পৃথকভাবে তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে।
ঝুঁকিপ্রবণ দেশ থেকে এলে, বিমানবন্দরে নামা মাত্র নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাঁর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। আর যদি মনে হয় যে ওই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত তাহলে তাঁকে অন্য করোনা রোগীদের সঙ্গেও রাখা যাবে না। একেবারেই আলাদা করে রাখা হবে তাঁকে।
গোটা বিশ্বেই এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় সবার প্রথমে এই রোগের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে এই ভ্যারিয়েন্ট এখন সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ পার করে গিয়েছে।
কলকাতায় ওমিক্রন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুই ব্যক্তির মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে। তাঁদের করোনার ভ্যারিয়্যান্ট জানার জন্য দুজনেরই লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। তাতেই জানা গিয়েছে, দুজনই ওমিক্রন আক্রান্ত।