অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর।। চায়ের মাধ্যমে ইরান থেকে নেয়া অতীতের তেলের ঋণ শোধ করার কথা ভাবছে শ্রীলংকা। দেশটির মন্ত্রী রমেশ পাথিরানা এই কথা জানিয়েছেন বলে রয়টার্স এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
রমেশ পাথিরানা বলেছেন, তার দেশ ২৫১ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের জন্য প্রত্যেক মাসে ৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চা পাঠাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে বড়সড় ঋণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে রয়েছে, যা মূলত করোনাকালীন সময়ে পর্যটনখাতে আয় হ্রাস পাওয়ার কারণে আরও বেশী হয়েছে।
বৈদেশিক ঋণ মেটাতে এই প্রথম চা বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান দেশটির টি-বোর্ডের একজন সদস্য।
মি. পাথিরানা জানান অর্থ প্রদানের পদ্ধতি জাতিসংঘ বা আমেরিকান নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করবে না যেহেতু চা কে ফুড আইটেম হিসেবে দেখা হয়। তবে এইও লেনদেনে কোন নিষিদ্ধ ইরানী ব্যাংক থাকবে না বলে জানান তিনি।
মি. পাথিরানা বলেন, ‘গত ৪ বছর ধরে আমরা প্রতিমাসে ৫০ মিলিয়ন ডলার পাঠাবো বলে চিন্তা করছিলাম।’
প্রতিমাসে ইরানের কাছে সিলন চা বিক্রির মাধ্যমে অর্থ শ্রীলঙ্কান রুপিতে সেটেলমেন্ট করা হবে।এতে করে প্রস্তাবিত স্কীমটি শ্রীলংকার অত্যাবশ্যকীয় বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে।
সিলন প্ল্যান্টার্স এসোসিয়েশনের মুখপাত্র রোশান রাজাদুরাই বলেন, ‘এই লেনদেনের পদ্ধতিটি সরকারের প্লাস্টার সমাধান। সিলন প্ল্যান্টার্স এসোসিয়েশন শ্রীলংকার বড় বড় বৃক্ষরোপণ কোম্পানী গুলোর মধ্যে একটা। এটিতে রপ্তানীকারকদের তেমন উপকার করবে না কারণ মূল্য পরিশোধ হবে শ্রীলংকান রুপিতে, মুক্তবাজারকে ফাঁকি দিয়ে।’
জানুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কা পাঁচশ মিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড পরিশোধের মাধ্যমে পরের বছর প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ঋণ পরিশোধ করতে হবে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নভেম্বর মাসে দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমে, ১.৬ বিলিয়ন হয়েছে।
সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর অজিথ নিভার্ড ক্যাবরাল এই মাসের শুরুতে জানান, ‘শ্রীলংকা ২০২২ সালের মধ্যে সমস্ত সার্বভৌম ঋণ নিরিবিচ্ছিন্নভাবে পরিশোধ করতে সক্ষম হবে।’
শ্রীলংকা বছরে প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করে। গত বছরে প্রায় ২৬৫.৫ কেজি চা রপ্তানী করেছে দেশটি। ২০২০ সালে ১.২৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।