অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর।। যেখানে ২১-২২ বছরে সবাই স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে তারা কি হবে আর সেই বয়সেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে এই যুবক । আইএএস আনসার আহমেদ ,আইপিএস হাসান শফিন , এই দুজন দেশের সবথেকে কম বয়সি সিভিল সার্ভেন্ট।
শৈশব থেকেই সঙ্গী ছিল নিদারুণ দারিদ্র্য। বাবা পেশায় অটোরিকশা চালক, মা কৃষি শ্রমিক। পড়াশোনা করাটাই যে পরিবারে ছিল বিলাসিতা, সেখান থেকে উঠে এসে আজ দেশের সর্বকনিষ্ঠ আইএস মহারাষ্ট্রের শেখ আনসার আহমেদ। শুধু তাই নয় মাত্র ২১ বছর বয়সে ডি এম হয়ে গোটা একটি জেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে।
আনসার নিজের সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন তাঁর বাবা চেয়েছিলেন চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ার সময় লেখাপড়া ছাড়িয়ে কোন গ্যারেজ বা হোটেলে কাজে ঢুকিয়ে দিতে। সৌভাগ্য সেটা হয়নি। স্কুলের মিড ডে মিলেই দুপুরের খাওয়া মেটাতে হত। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও আনসার উচ্চমাধ্যমিকে ৯১ % নম্বর পান। তিনি পরিবারের প্রথম স্নাতক।
আনসার আরও বলেন স্নাতক স্তরে পড়ার সময় থেকেই তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন। মরাঠি মাধ্যমে পড়ার জন্য ইংরেজি নিয়ে সমস্যা হত। তবে সেই সমস্যাও তিনি অতিক্রম করেছেন।১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া শেখ আনসার আহমেদ আজ দেশের অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।
অন্যদিকে সফিন হাসান যার জন্ম হয় ওই ১৯৯৫ সালে গুজরাটের পালন পুর তহশিল এর একটি গ্রামে । গ্রামের সরকারি স্কুল থেকেই তার পড়াশোনা শুরু হয় ,তারপরে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী কেটে যায় একটি প্রাইভেট স্কুলে ।তবে তিনি পড়াশোনায় এতই ভাল ছিলেন যে প্রাইভেট স্কুলের প্রিন্সিপাল তার ফিজ মাফ করে দেন এবং তারপরে কলেজে ভর্তি হন গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে তিনি দিল্লিতে চলে যান ।
সেখান ইউপিএসসি এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন । তখন তাঁদের গ্রামের হুসেন ভাই ও তাঁর স্ত্রী সমস্ত খরচা দেন। ২০১৭ সালের ইউপিএসসিতে তে ৫৭০ র্যাংকিং করেন তিনি । তারপরেই দেশের সর্বকনিষ্ঠ আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠেন।