স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ২০ ডিসেম্বর।। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর রাজ্যের বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। আজ যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে তারাই আগামী দিনে ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ।
এজন্যই রাজ্যে গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারণে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ নলছড় ব্লকের লক্ষণডেপা উচ্চ বিদ্যালয়কে দ্বাদশ শ্রেণী উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীতকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ একথাগুলি বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্ব-শক্তিকরণ প্রকল্পে রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সিপাহীজলা জেলাতেও প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আত্মরক্ষার জন্য তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাকে যদি আমরা সঠিকভাবে না নিতে পারি, আমরা যতই চেষ্টা করিনা কেন সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সবার আগে শিক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ আরও বলেন যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রত্যেক বিধানসভায় ১টি করে ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে।
৩০টি বিদ্যালয়কে পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এন সি ই আর টি পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে। ১৩৫টি বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও ৭০টি বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু করা হবে। ৮০টি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে স্পোকেন ইংলিশ কোর্স চালু করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন দিশা প্রকল্পে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে পাস ফেল প্রথা চালু করা হয়েছে। ১২৮টি বিদ্যালয়কে ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে রূপান্তর করা হয়েছে। ২৯টি বিদ্যালয়ে সিবিএসই কোর্স চালু করা হয়েছে। আরও ৭১টি বিদ্যালয়ে এই কোর্স চালু করা হবে।
নবম শ্রেণীর সকল ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাইসাইকেল প্রদান করা হচ্ছে। ৩১২টি বিদ্যালয়ে আইসিবি প্রোজেক্ট চালু করা হয়েছে। আরও ২৩৯টি বিদ্যালয়ে এই প্রকল্প চালু করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, নলছড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান জহরলাল ঘোষ, বিশিষ্ট সমাজসেবী কিশোর বর্মণ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন সিপাহীজলা জেলা শিক্ষা আধিকারিক হাবুল লোধ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লক্ষণডেপা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি চেয়ারম্যান প্রদীপ দাস বৈষ্ণব।