স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর।। সৎসংগের প্রধান আচার্য্যদেব শ্রীশ্রী আশাক চক্রবর্তী, সৎসঙ্গীদের কাছে তিনি পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী দাদা’ নামে সমাধিক পরিচিত আজ সকাল ০৯.৪০ মিনিটে দূর্গাপুর মিশন হাসপাতালে তাঁর পার্থিব যাত্রা সমাপন করে মহাপ্রস্হান করেন। মূহুর্তের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারতবর্ষ সহ বর্হিভারতের অনেক দেশে।
এই খবর পাওয়া মাত্রই কান্নার কোলে ঢলে পড়েন শ্রীশ্রী ঠাকুরের কোটি কোটি মন্ত্র শিষ্য, ভক্ত অনুরাগী–বিশেষ করে যারা তাঁর সঙ্গ সান্নিধ্যে জীবনে নতুন দিশা পেয়েছেন, আলোকিত হয়েছে অগুনিত ভক্তপ্রান মানুষ। গত দুই মাস যাবৎ চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সূর্যাস্তের পূর্বেই তাঁর অন্ত্যষ্টি ক্রিয়া সুসম্পন্ন হয়েছে শ্যামাপুর, দক্ষিন দুর্গাপুর সৎসঙ্গ মন্দির প্রাঙ্গনে।
পাবনা সৎসঙ্গ আশ্রমে ১৯৩৬ সালে ২১ অক্টোবর তাঁর জন্ম। পড়াশুনা করেন দেওঘর ও কলকাতায়। কিছু দিন তিনি ডাক্তারী পড়েছেন, পরে এলএলবি করেন, তিনি সঙ্গীতজ্ঞ, একাধারে গীতিকারও। হাজার হাজার গান লিখেছেন তিনি। বহু গান রেকর্ড হয়েছে-সৎসঙ্গীদের ঘরে ঘরে তাঁর রচিত গান, কীর্তন সৎসঙ্গ ও উৎসবাদিতে পরিবেশিত হয়।
তিনি ছিলেন শ্রীশ্রী ঠাকুরের পৌত্র। তাঁর পিতা শ্রীশ্রী অমরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী(শ্রীশ্রী বড়দা) ছিলেন সৎসঙ্গের প্রথম প্রধান আচার্যাদেব। তাঁর মহাপ্রয়ানের পর তিনি সৎসঙ্গের প্রধান আচার্য্যদেবের স্থলাভিষিক্ত হন। তাঁর প্রয়ানে সৎসঙ্গের একটি যুগের অবসান হল। ত্রিপুরা রাজ্যিক সৎসঙ্গ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সৎসঙ্গের প্রধান আচার্যদের শ্রীশ্রী সাদার (শ্রীশ্রী অশোক চক্রবর্তী) মহাপ্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রী বাবাই দাদার সমীপে শোকবার্তা প্রেরণ করেন। আচার্য্যদেব শ্রীশ্রী দাদা আজ ১৬ডিসেম্বর, ২০২১ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শ্রীশ্রী ঠাকুর ধামে গমন করেন। মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব, পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রী বাবাই দাদার এবং ইউপরিবারস্থ সকলের জন্য শ্রীশ্রী ঠাকুরের নিকটে প্রার্থনা জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই কঠিন পরিস্থিতি উনারা যেন কাটিয়ে উঠতে পারেন এবং রাজ্যের অগণিত ভক্তবৃন্দের মতো তিনিও মানসিকভাবে সকলের পাশে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবেও শ্রীশ্রী ঠাকুরের একজন সেবক ও ভক্ত।