অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর।। এফ-৩৫ এয়ারক্রাফটসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত করেছে আরব আমিরাত।
ওয়াশিংটন ডিসির আমিরাত দূতাবাসের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, অস্ত্র চুক্তির আলোচনা স্থগিত হলেও সপ্তাহ শেষে পেন্টাগনের সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ে নির্ধারিত আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও বলেছে, উন্নত প্রতিরক্ষার বিবেচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পছন্দের দেশ হিসেবে এখনো রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভবিষ্যতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য আলোচনা ফের চালু করা যেতে পারে।
আমিরাতের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেছেন, প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা, সার্বভৌম বিধিনিষেধ এবং খরচ ও সুবিধা বিশ্লেষণ করে চুক্তিটি ফের মূল্যায়ন করা হয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে গত বছর ২৩ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির কথা প্রথম জানা যায়। এর সঙ্গে ‘আব্রাহাম আকর্ডস’-এর সম্পর্ক রয়েছে। যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদানের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
বিলিয়ন ডলারের চুক্তির আওতায় সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা ছিল জেনারেল অ্যাটমিকস, লকহিড মার্টিন ও রাইথিওন টেকনলজিসের মতো প্রতিষ্ঠানের।
কয়েক দিন আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে দেশটি থেকে ১৫.৮ বিলিয়ন ডলারে ৮০টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনতে সম্মত হয় আমিরাত। সম্প্রতি সাবমেরিনের জন্য ফ্রান্সকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এ নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাজ্যসহ অপর দুটি দেশের টানাপোড়েন চলছে।
এ দিকে সিএনএন জানায়, কয়েক দিন আগে চীন থেকে প্রযুক্তি কেনা নিয়ে আমিরাতকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারই মাঝে ভেস্তে গেলে অস্ত্র চুক্তির আলোচনা।
আরও জানায়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীতে দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেতা আবু ধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে দেখা করার একদিন পর অস্ত্র চুক্তিটি স্থগিত করা হয়েছে। এটি ছিল উপসাগরীয় এ রাষ্ট্রে ইসরায়েলি নেতার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর।