অনলাইন ডেস্ক, ৯ নভেম্বর।। সিঙ্গাপুরে কভিড টিকা নেওয়ার যোগ্য ৮৫ শতাংশই পুরোপুরি টিকা নিয়েছে ও ১৮ শতাংশ বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছে। এরপরই বেশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যারা ইচ্ছা করে টিকা নেননি তারা করোনায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসা খরচ বহন করবে না সরকার।
সম্প্রতি টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের মাঝে সংক্রমণ বেড়েছে এবং তাদের অনেকেই নগররাষ্ট্রটির হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এক বিবৃতিতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিবিড় পরিচর্যা দরকার এমন ব্যক্তিদের বড় একটি অংশ টিকা নেয়নি ও তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি করেছে।
আরও বলা হয়, যারা ইচ্ছা করে টিকাকরণের বাইরে রয়ে গেছে তারা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিলের জন্য আবেদন করতে পারবে।
সিঙ্গপুরের সরকার বর্তমানে নিজেদের নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও দীর্ঘমেয়াদী কাজের অনুমতিধারী কভিড রোগীদের বিল বহন করে, যদি না বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর অল্প সময়ের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, করোনা যখন জরুরি ও অপরিচিত রোগ ছিল তখন অনিশ্চিত ও উদ্বেগ তৈরি করে এমন আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বলা হচ্ছে, কভিড- ১৯ পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, যারা এখনও যোগ্য নয় এমন ১২ বছর বা তার কম বয়সী শিশু এবং কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসায় শর্তযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসা খরচ সরকার দেবে। এ ছাড়া আংশিকভাবে টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুরক্ষা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসেবায় সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ মনে করা হয়। শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৩০ সালের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণের প্রচেষ্টায় সিঙ্গাপুর ১৮৮টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে।