অনলাইন ডেস্ক, ৬ নভেম্বর।। সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। রিয়াদকে ড্রোন হামলা থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি ওয়াশিংটনের। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, ইরানকে মোকাবেলা করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক AIM-120C মাঝারি পাল্লার মিসাইল কিনতে চলেছে সৌদি আরব। প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ২৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে রিয়াদ।
অকাশ থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম এই মিসাইল। প্রায় ১২ ফুট লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। মূলত, হামলাকারী ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করতেই এই হাতিয়ার ব্যবহার করবে সৌদি যুদ্ধবিমানগুলো।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের ড্রোন দিচ্ছে ইরান। আর সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সৌদি আরবের তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাচ্ছে তারা।
ইরানকে মোকাবেলায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরাক, কুয়েত, জর্ডান ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’ মোতায়েন রেখেছে আমেরিকা। এছাড়া, ওই জায়গাগুলোতে ‘থাড মিসাইল সিস্টেম’ও রয়েছে।
বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে থাকা ওই হাতিয়ারগুলোর চালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর সংখ্যায় সেনা ও টেকনিশিয়ান রাখতে হচ্ছে আমেরিকাকে। তবে এবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে হাউথিদের লাগাতার হামলায়।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হাউথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে মিত্রবাহিনী। ওই বাহিনীতে রয়েছে জর্ডান, কাতার ও সুদানের সেনারা।
বেশ কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বিগত দিনে বেশ কয়েকবার সৌদি আরবের তেল শোধনাগারগুলোতে রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হাউথিরা।