অনলাইন ডেস্ক, ১ নভেম্বর।। প্রয়াত বিশিষ্ট বর্ষীয়ান সাংবাদিক বরুণ দাশগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। রবিবার কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নিমতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এক নামী দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবে তিনি প্রায় দেড়বছর গুয়াহাটিতে কর্মরত ছিলেন। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি হিসেবেও বেশ কয়েকবছর ছিলেন গুয়াহাটিতে।
সাংবাদিকতার জগতে বরুণ দাশগুপ্ত ছিলেন একটি মাইস্টোন। প্রখর স্মৃতিশক্তি ও অসীম জ্ঞানের জন্য সংবাদজগতে তিনি তাঁর আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলে ছিলেন।
বর্তমানে সাংবাদিক বরুণ দাশগুপ্ত সল্টলেকের একটি কো-অপারেটিভ হাউসিংয়ে থাকতেন। চার বছর আগে তাঁর স্ত্রী রুচিরা শ্যামের মৃত্যু হয়। তার পর থেকে একাই আবাসনে থাকতেন তিনি।
সোদপুর গান্ধী আশ্রমে বরুণ দাশগুপ্তের বড় হয়ে ওঠা। এই আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁর বড় মামা সতীশ দাশগুপ্ত এবং তার বাবা ক্ষিতীশ দাশগুপ্ত।
বাংলা, অসমিয়া, হিন্দি, ইংরেজি ভাষাতে সমান দক্ষ ছিলেন তিনি। কর্মজগতে বরুণ দাশগুপ্ত একাধিক সংবাদপত্রিকায় কাজ করেছেন। গুয়াহাটির ‘দ্য হিন্দু’র প্রধান সংবাদদাতা হিসাবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক হিসেবে বরুণ দাশগুপ্ত কলকাতা ছাড়াও পাটনা, নয়াদিল্লি, গুয়াহাটিতে সমান দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন।
‘ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট’ অ্যাফিলিয়েশন একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন বরুণ দাশগুপ্ত। গৌহাটি পুশ ক্লাব (জিপিসি) প্রবীণ সাংবাদিক বরণ দাশগুপ্তের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছে।
জিপিসি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অসম সহ উত্তর-পূর্বে প্রায় কয়েক দশক ধরে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন বরুণ দাশগুপ্ত। এই বিশিষ্ট সাংবাদিকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সাংবাদিক জগত। তাঁর মৃত্যুতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল।