অনলাইন ডেস্ক, ২৪ অক্টোবর।। মাদক মামলায় শারুখপুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার প্রভাকর শৈল নামের এক ব্যক্তির হলফনামাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হল।
নিজের হলফনামায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ওই ব্যক্তি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর দেওয়া হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল ক্রুজে এনসিবির অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর তত্ত্বাবধানেই আরিয়ানের মামলার তদন্ত চলছে। এই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন প্রভাকর শৈল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরিয়ানের মামলার সাক্ষীদের তালিকায় প্রভাকরের নাম রয়েছে। এদিকে হলফনামায় নিজেকে কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে দাবি করেছেন।
গোসাভিই সেই ব্যক্তি যার সঙ্গে আরিয়ানের সেলফি ভাইরাল হয়। ওদিকে, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কেপি গোসাভি নিখোঁজ হয়ে গেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিস।
নিজের হলফনামায় প্রভাকর জানিয়েছেন, তিনি কে পি গোসাভি ও জনৈক স্যাম ডি’স্যুজার কথোপকথন শুনেছিলেন। দুজন ১৮ কোটি টাকার বিনিময়ে আরিয়ান খানের মামলার দফারফা করার কথা বলছিলেন। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা নাকি সমীর ওয়াংখেড়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা হয়।
একই সন্ধ্যায়, কেপি গোসাভি, স্যাম ডিসুজা এবং শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি একটি গাড়ির ভেতরে ১৫ মিনিটের বৈঠক করেছিলেন।
প্রভাকরের দাবি, সেই টাকা স্যাম ডি’স্যুজার হাতেও দেওয়া হয়েছিল। প্রভাকর জানান, নিজের নিরাপত্তার কারণেই তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন এবং হলফনামার মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেছেন।
গত ৬ অক্টোবর এনসিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যে ৯ জন সাক্ষীর নাম ঘোষণা করেছিল তার মধ্যে প্রথম নামটিই ছিল প্রভাকর শৈল।