স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ অক্টোবর।। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সিধাই থানা এলাকার দুটি স্থানে দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ প্রথম মৃতদেহটি উদ্ধার হয় ছেচুরিয়া সাহা পাড়া এলাকায়৷ দ্বিতীয় মৃতদেহ উদ্ধার হয় কলাগাছিয়ার হাতিছড়া এলাকা থেকে৷ সাহাপাড়া থেকে উদ্ধার মৃতদেহ সনাক্তকরণ সম্ভব না হলেও হাতিছড়া থেকে যে দেহটি উদ্ধার হয়েছে উনার নাম রবীন্দ্র দেববর্মা (৬৫)৷ সিধাই থানাধীন ছেচুরিয়া বাজার সংলগ্ণ সাহপাড়ায় রাবার বাগানের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির মৃতদেহ৷
ধারণা করা হচ্ছে যুবকটিকে খুন করার পর তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য আততায়ীরা আগুন ধরিয়ে দেয় মৃতদেহেক৷ শনিবার সকালে এলাকার মানুষ মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে খবর দেয় পুলিশে৷ ঘটনাস্থলে আসে সিধাই থানার ওসি বিজয় সেন, এসডিপিও কমলবিকাশ মজুমদার৷ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করতে গিয়ে মৃতদেহের পাশ থেকে খালি বিলাতি মদের বোতল এবং চিপসের প্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ৷
ধারণা করা হচ্ছে এই স্থানের বসেই মদ্যপান করার পর এই যুবকটিকে খুন করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল খুনিরা৷ ঘটনাস্থলে আসে ডগ স্কোয়াড ও ফরেন্সিক টিম৷ এসডিপিও কমলবিকাশ মজুমদার জানান গোটা বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ মৃতদেহের উচ্চতা হবে প্রায় ৫.৬ ফুট৷ মৃতদেহের মাথার পেছন দিকে একাধিক আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে৷ তিনি আরো বলেন, মৃতদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার সামাজিক এবং আর্থিক অবস্থা দরিদ্র৷ এলাকায় কোন ধরনের মিসিং ডায়ারি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷
তাই আপাতত মৃতদেহটি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানান এসডিপিও কমল বিকাশ মজুমদার৷ তবে ধারণা করা হচ্ছে কোন চা বাগান এলাকার অদিবাসী হতে পারে এই ব্যক্তি৷ অন্যদিকে মোহনপুরের কলাগাছিয়া হাতিছড়া গ্রাম থেকে রবীন্দ্র দেববর্মা নামে অপর ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ জানা গেছে শুক্রবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি৷ শনিবার বাড়ির পাশের বালুর চরে উনার দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা৷ ঘটনাস্থলে যায় সিধাই থানার পুলিশ৷ পুলিশের বক্তব্য মৃতদেহে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ণ নেই৷ তবে ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে৷