স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৫ অক্টোবর।। কালীঘাটে মাথা ন্যাড়া করে বিজেপি ছাড়লেন ত্রিপুরার সুরমা কেন্দ্রের বিধায়ক আশিস দাস। বুধবার মহালয়ার পূণ্য তিথিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
রাজনীতিতে নয়া চমক দিতে দল ছাড়লেন বিজেপির বিধায়ক আশিস দাস। পশ্চিমবঙ্গের কালীঘাটে মঙ্গলবার মাথা ন্যাড়া করে প্রায়শ্চিত্ত করেন তিনি।এদিন বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়লেন তিনি।
কালীঘাটে মাথা নেড়া করে প্রায়শ্চিত্ত করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক আশীষ দাস বলেন, ত্রিপুরার জনগণ বামফ্রন্টের ২৫ বছরের অপশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিলেন।প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে লড়াই করেছিলেন।২০১৫ উপ নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে লড়াই করেছিলেন তিনি।
উপ নির্বাচনে তিনি ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় বিজেপির ভোট ছিল মাত্র দেড় শতাংশ। সাংগঠনিক শক্তি তেমন কিছুই ছিল না। রাজের জনগণ বিকল্প শক্তি হিসেবে বিজিপিকে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন ২০১৮ সালে।
আশিস দাস সুরমা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বিধায়ক নির্বাচিত হন। দল ক্ষমতায় আসলেও জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে দল সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে দায়ী করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এজন্য দায়ী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের ব্যক্তিগত কারণেই রাজ্যে সাংগঠনিক অবস্থা এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলীয় বিধায়ক আশিস দাস। দলীয় অভ্যন্তরে প্রতিবাদ জানিয়ে কোন সুবিচার মিলেনি। নেতারা বারবার ত্রিপুরাতে আসলেও সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ বিধায়ক আশিস দাস এর।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন ,তিনি নিজে এবং রাজ্যের জনগণ জেনে শুনে ভুল করেননি। এ কারণেই তিনি ভুলের সংশোধন করতে কালীঘাটে মাথা মুন্ডন করে প্রায়শ্চিত্ত করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বলে মন্তব্য করেন।
বিধায়ক আসিস দাস বলেন ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি মাথা নেড়া অবস্থাতেই থাকবেন। তিনি যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন এ দিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস এর দল ছাড়া ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপি দলের এটি প্রথম ইনিংস পরাজয়। একজন বিধায়কের দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘটনায় বিজেপি নিজেদেরকে কতটা সামাল দিতে পারবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।