অনলাইন ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর।। ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে বিশ্বের ১৬৩টি দেশে রাস্তা, সেতু, বন্দর এবং হাসপাতাল নির্মাণে চীন ৮৪৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
বুধবার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চীনের এই উচ্চাভিলাষী বৈদেশিক অবকাঠামো প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র দেশগুলিকে ৩৮৫ বিলিয়ন ডলারের ‘লুকানো ঋণ’ এর জালে বেঁধে ফেলেছে চীন। এবং এক তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রকল্প দুর্নীতির কেলেঙ্কারি এবং বিক্ষোভের শিকার হয়েছে।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা ল্যাব এইডডেটার গবেষণায় বলা হয়েছে যে, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর প্রধান বিনিয়োগ অভিযান দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর অধীনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এবং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির ফলে ডজন খানেক নিম্ন আয়ের দেশের সরকার ঋণের জালে আটকা পড়েছে।
২০১৩ সালে ওই কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ার অনেক দেশসহ ১৬৩টি দেশে রাস্তা, সেতু, বন্দর এবং হাসপাতাল নির্মাণে চীন ৮৪৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
এইডডেটার নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড পার্কস এএফপিকে বলেন, এই অর্থের প্রায় ৭০ শতাংশ রাষ্ট্রীয় ব্যাংক বা চীনা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই বেইজিংয়ের কাছে গভীরভাবে ঋণগ্রস্ত ছিল।
‘অনেক দরিদ্র সরকার আর ঋণ নিতে পারেনি,’ পার্কস বলছিলেন, ‘সুতরাং (চীন) সৃজনশীল হয়ে উঠেছে’।
তিনি বলেন যে, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া অন্যদের ঋণ দেওয়া হয়েছে, তবে সেসব ঋণ পরিশোধে সরকারি গ্যারান্টি আদায় করে নিয়েছে চীন’।
তিনি বলেন, ‘চুক্তিগুলি অস্পষ্ট, এবং সরকার নিজেরাই জানে না যে, তারা চীনের কাছে ঠিক কত টাকা ঋণী’। গবেষণায় দেখা গেছে, এমন ঋণের মূল্য প্রায় ৩৮৫ বিলিয়ন ডলার।