নদীপথে ত্রিপুরায় পণ্য আমদানি, অনুমতি দিল বাংলাদেশ সরকার

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৪ আগস্ট।। অবশেষে আসছে সেই ঐতিহাসিক মুহুর্ত। নদীপথে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আসবে ত্রিপুরায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলক পণ্য রপ্তানি-তে অনুমতি দিয়েছে। ফলে, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নদীপথে দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়ায় পণ্য আসবে। ত্রিপুরা-র মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই খুশির খবর রাজ্যবাসী-কে জানালেন। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ এক টুইট বার্তায় বলেন, ত্রিপুরার জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত ! ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক জলযান যাত্রা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সূচনা হবে।

কুমিল্লা-র দাউদকান্দি থেকে ত্রিপুরার সোনামুড়া পর্যন্ত গোমতী নদী দিয়ে পণ্য আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিয়েছে। তাঁর কথায়, পরীক্ষামূলক যাত্রায় বার্জে করে ৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট ঢাকা থেকে সোনামুড়ায় পৌছাবে। এই প্রথম জলযানে পণ্য ত্রিপুরা পর্যন্ত আসছে। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সাথে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া ৯৩ কিমি নদীপথে পণ্য আমদানির জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশের সাথে নদীপথে চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার সাথে সাথে দরজা খুলে যায় ত্রিপুরার জন্য। সেই মোতাবেক সম্প্রতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ওই নদীপথ পরিদর্শন করেছেন। তাতে, কিছু সমস্যা তারা পেয়েছেন। কিন্তু, সমস্যা নিয়েই পরীক্ষামূলক পণ্য রপ্তানি-তে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে। অবশ্য, তাতে নিরাপত্তা অবলম্বনে কঠোর বার্তাও দিয়েছে। নদীপথে পরীক্ষামূলক পণ্য আমদানি-তে ১০০০ ব্যাগ সিমেন্ট আসবে। পরিবহণ সংস্থা-কে ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে, দাউদকান্দি থেকে বিবিরবাজার পর্যন্ত নদীপথে অত্যাধিক সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ-বিষয়ে ত্রিপুরা মার্চেন্ট এসোসিয়েশন-র সভাপতি তুষার চক্রবর্তী বলেন, নদীপথে পণ্য আমদানি-তে ত্রিপুরার ব্যবসায়ী-রা দারুণভাবে উপকৃত হবেন। বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি লাভবান হবেন। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব-র ঐকান্তিক চেষ্টা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় নদীপথে পণ্য আমদানি সম্ভব হচ্ছে। ত্রিপুরা এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজ্যগুলির জন্য দরজা খুলে দেবে। তাতে, ত্রিপুরা উন্নতির চরম শিখরে পৌছাবে, বলেন তিনি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?