বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক পরার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানা জরুরি। যেমন-
১. মাস্ক এমনভাবে পরুন যাতে মুখ ও নাক সম্পূর্ণভাবে ঢাকা পরে। মাস্ক পরে যদি শুধু নাক বা মুখের কোনও একটা খোলা থাকে, তাহলে মাস্ক পরার কোনও উপযোগিতা থাকে না। খেয়াল রাখবেন, মাস্ক যেন নাকের ওপর থেকে শুরু করে গোটা মুখ ভালো ভাবে ঢাকতে পারে। তাই মাস্ক কেনার সময় সেটি কতটা চওড়া তা ভালো করে দেখে তবেই কিনবেন। বাজারে যেসব সার্জিক্যাল মাস্ক পাওয়া যায় তা এক লেয়ারের, মহামারির এ সময়ে তা মোটেও উপযোগী নয়। অন্তত তিন লেয়ারের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
২. মুখের থেকে ঢিলে মাস্ক ব্যবহার করবেন না। মাস্ক ঢিলে হলে তা ঠিক করতে বারবার মুখে হাত দিতে হবে। এতে হাতের ধুলো ময়লা মাস্কে লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. সুতির কাপড়ের তৈরি মাস্ক তাড়াতাড়ি ছিঁড়ে যায়। রঙ হালকা হয়ে গেলে ও মাস্কে ছোট থেকে বড় ফুটো দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেই মাস্ক ডাস্টবিনে ফেলে দিন। ফুটো দেখা দিলে সেই মাস্ক না পরাই ভালো। কারণ করোনার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে থাকা অন্যান্য ভাইরাসও আক্রমণ করতে পারে।
৪. মাস্ক এখন বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরে যদি ত্বকে নানা সমস্যা যেমন- ব্রণ, র্যাশ, চুলকানি, ফুলে ওঠার মতো সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত মাস্ক পরিবর্তন করা উচিত।
৫. মাস্ক যদি পরিষ্কার করা যায় তাহলে অবশ্যই ধুয়ে, শুকিয়ে তারপর পরা উচিত। গবেষণা বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে সঠিক মাস্ক পরলে প্রায় ৭০ শতাংশ করোনা হওয়ার ঝুঁকি কমে। শুধু পরলেই হবে না, সেটি ঠিকসময়ে ফেলেও দিতে হবে।
৬. মাস্ক পরে অস্বস্তি হলে অবশ্যই সেই মাস্ক এড়িয়ে চলুন। আবার ঘন্টার পর ঘন্টা একই মাস্ক পরে থাকলে অস্বস্তি তৈরি হয়। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে। তাই মাস্ক বদলানো প্রয়োজন।
৭. মাস্কের নোজ ক্লিপ আলগা হয়ে গেলে সেই মাস্ক দ্রুত পাল্টে ফেলুন। এ ছাড়া কানে লাগানোর ইলাস্টিক বা কাপড় যদি আলগা হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে মাস্ক পরিবর্তন করার সময় এসেছে।