অনলাইন ডেস্ক, ২৩ আগস্ট।। পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে থাকা মূল নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সমাবেশ পুরোপুরি সরিয়ে নেয়নি চিন। কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায় একাধিকবার বৈঠকের পরেও পিছু হটতে অস্বীকার করছে লাল ফৌজ। এর পাশাপাশি মূল নিয়ন্ত্রণ রেখার লাগোয়া এলাকাজুড়ে হেলিপ্যাড, সড়ক, সেতু এবং অন্যান্য সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে চিন। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতৃত্ব টানা দুই-তিন দিন ধরে লাগাতার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে চিনকে কৌশলগত উপায় যোগ্য জবাব দেওয়ার কৌশল নির্ধারণ করেছে।
মে মাস থেকে মূল নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া এলাকাগুলিতে সড়ক, সেতু, হেলিপ্যাড, সৈন্যদের থাকার অস্থায়ী ব্যারাক তৈরি করেছে লাল ফৌজ। এমনকি প্যাংগং ঝিল থেকে শুরু করে গোগড়া হট স্প্রিং পর্যন্ত নিজেদের সেনাবাহিনীর জন্য অপটিক ফাইবার কেবল বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে চিন।দুই দেশের মধ্যে এই সংঘাতের আবহ যে শীতকাল পর্যন্ত থাকবে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনা।
ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত অঞ্চল হচ্ছে ৩৪৮৮ কিলোমিটার বিস্তৃত। এর মধ্যে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে চিনের আগ্রাসন রুখতে ট্যাংক, কামান সহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম মোতায়নের কাজ ব্যস্ত ভারত। পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে থাকা এই বিরোধ প্রায় ১০০ দিনে পড়ল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।
এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর শীর্ষ সাত কমান্ডার এবং গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে গত ২০ এবং ২১ আগস্ট গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারওয়ানে। একই সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে কি রণকৌশল নেওয়া হবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।পাশাপাশি পাকিস্তান এবং চিন সীমান্তে গতিবিধি কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও বৈঠকে উঠে আসে।
ভারত একাধিকবার চিনের সঙ্গে আলোচনা করলেও সীমান্ত থেকে সেনা সমাবেশ সরিয়ে নিয়ে যেতে ক্রমাগত অস্বীকার করে চলেছে লাল ফৌজ। ফলে আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিস্থিতি একই থেকে গিয়েছে। শনিবার রাতে পাকিস্তান এবং চিন সীমান্ত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান।সিডিএস। বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বর্তমান পরিস্থিতি অবগত করান সেনাপ্রধান।