অনলাইন ডেস্ক, ৬ সেপ্টেম্বর।। অবকাঠামো প্রকল্পের আড়ালে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলের পর উত্তরাঞ্চল এবং তামিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভেতরেও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। যা ভারতের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যেই ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার নতুন হাইকমিশনার মিলিন্দ মোরাগোদা ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথ সামরিক মহড়া এবং উচ্চ স্তরের সামরিক বিনিময়, ভারতের সন্ত্রাস-বিরোধী ‘ক্রেডিট লাইন‘ ব্যবহার, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরে কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তামিলে (শ্রীলঙ্কা) বসবাসকারী বাস্তুচ্যুতদের সমস্যার সমাধান প্রভৃতি বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে।
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারের অফিস শূন্য ছিল। ভারত ও জাপানকে কলম্বো বন্দরের ইস্ট কন্টেইনার টার্মিনাল প্রকল্প থেকে একতরফাভাবে বহিষ্কার করা হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সময়ে বেশ অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। পরে অবশ্য তিন দেশ যৌথভাবে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল।
রাজাপক্ষে পরিবারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতাকে ভারত ভালো চোখে দেখেনি। মোরাগোদার কৌশলগত প্রস্তাবের মাধ্যমে এখন সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের ভেতর দিয়ে এর মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে লঙ্কানদের প্রশিক্ষণের সুযোগ, সুরক্ষা ও প্রশিক্ষণস্থান ব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি মিশন রয়েছে, যা এখনো বাস্তবায়নের পথে।
ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তনের কারণে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে উভয় দেশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকারী লেনদেন পদ্ধতি এড়িয়ে চলারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে চীনা প্রকল্পগুলি মূলত দক্ষিণ শ্রীলঙ্কায় সীমাবদ্ধ ছিল। গোতাবায়া রাজাপক্ষ সরকার এখন শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলেও বেশ কয়েকটি চীনা উদ্যোগকে অনুমোদন দিয়েছে।