অনলাইন ডেস্ক, ৪ সেপ্টেম্বর।। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবিক কাজে অর্থায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। কংগ্রেসের বরাতে এ আশা করা হলেও দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, তালেবান নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে সরাসরি অর্থায়ন করার সম্ভাবনা নেই।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, বর্তমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সাহায্য নিয়ে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ। সংস্থার প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এ বিষয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক আহ্বান করতে জেনেভা যাচ্ছেন।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে আক্রমণের পর থেকে সেখানকার নিরাপত্তা, শাসন, উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় ১৩০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
কংগ্রেসের সহযোগীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত আফগান ও শরণার্থীদের মানবিক সাহায্য দিতে প্রায় নিশ্চিত আইনপ্রণেতারা। তবে অন্তত এখন তালেবান সরকারকে সরকারি সাহায্য দেবে না তারা।
তালেবানের বিজয়ের আগেও আফগানিস্তান ব্যাপকভাবে বিদেশি সাহায্য নির্ভর ছিল, যার পরিমাণ ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪০ শতাংশ।
এ দিকে জাতিসংঘ বলছে, ১.৮ কোটি আফগান মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, শিগগিরই তাদের সঙ্গে একই পরিমাণ লোক যুক্ত হবে। এ ছাড়া তালেবানদের ভয়ে ৫ লাখের মতো মানুষ পালাতে পারে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রায় পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে নিলেও কাবুলের উত্তরে পানশিরে স্থানীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে তালেবানদের যুদ্ধ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেও অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
বর্তমানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে আফগানিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা রিজার্ভ ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের মতো সংস্থাগুলো উন্নয়ন সাহায্য ও ঋণ স্থগিত করেছে।