স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ আগস্ট।। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ত্রিপুরা বিধানসভা-র বর্ষাকালীন অধিবেশন সম্ভবত খোলা আকাশের নিচে অনুষ্ঠিত হবে। এমনটাই প্রস্তুতি চলছে। কারণ, করোনা অতিমারীর প্রকোপে বিধানসভা ভবনে অধিবেশন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভেবেই ওই রকম চিন্তাধারা চলছে। তাতে, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই, আজ ত্রিপুরার সংসদ বিষয়ক ও আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ হেরিটেজ পার্কে গ্যালারি পরিদর্শন করেছেন।
তাঁর কথায়, বিভিন্ন রাজ্যে নীম গাছের তলায় কিংবা খোলা আকাশের নীচে বিধানসভা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা-র প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্যই ত্রিপুরাতেও এমনই চিন্তাভাবনা চলছে। তাই, হ্যারিটেজ পার্কের গ্যালারি ঘুরে দেখেছি, বলেন তিনি।গত ২০ মার্চ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছিল। পাঁচ দিনের ওই অধিবেশন করোনা-র প্রকোপে দুই দিনেই সমাপ্ত হয়ে যায়। বাজেট পাস করেই অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। প্রথা অনুযায়ী, প্রতি ছয় মাস অন্তর বিধানসভা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতেই হবে।
ফলে সেপ্টেম্বরে বিধানসভা অধিবেশন অনুষ্ঠিত করতেই হবে। কিন্তু, করোনা-র প্রকোপ ত্রিপুরা সরকার-কে গভীর চিন্তায় ফেলেছে। ফলে, বিকল্প চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে, খোলা আকাশের নীচে অধিবেশন অনুষ্ঠিত করার বিষয়েই ভাবছে ত্রিপুরা সরকার।আজ সংসদ বিষয়ক ও আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, সেপ্টেম্বরে বিধানসভা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কোন কোন রাজ্যে অধিবেশন বিধানসভা ভবন চত্বরে না করে বাইরে নীম গাছের তলায় কিংবা খোলা আকাশের নীচে বসেছে।
সাথে তিনি যোগ করেন, অসমে বিধানসভার ৫০ শতাংশ সদস্যদের নিয়ে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারণ, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই জরুরি। তাই, হ্যারিটেজ পার্কে গ্যালারি পরিদর্শন করে গেলাম। তিনি বলেন, ওই স্থানে বিধানসভা অধিবেশন আদৌ সম্ভব হবে, না অন্য বিকল্প ভাবার প্রয়োজন পড়বে, তা চূড়ান্ত করতে হবে।আইনমন্ত্রীর কথায়, হ্যারিটেজ পার্কে গ্যালারিতে বিধানসভা অধিবেশন বসা সম্ভব। সে-ক্ষেত্রে মাথার উপরে ছাউনি এবং বসার জন্য চেয়ার-র ব্যবস্থা করতে হবে।
তাছাড়া, কথা বলার জন্য কর্ডলেস মাইক রাখলেই যথেষ্ট হবে। তাঁর মতে, ওই স্থানে সুবিধা-অসুবিধা সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে দেখবে বিধানসভা সচিবালয়। তাই, গতকাল বিধানসভার সচিব ওই স্থান পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি বলেন, বিধানসভায় বিজেপি-র ৩৬ জন, আইপিএফটি-র ৮ জন এবং সিপিএম-র ১৬ জন সদস্য রয়েছেন। সে-ক্ষেত্রে অসম-কে অনুসরণ করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। তবে, সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই এ-বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পারস্পরিক দূরত্ব এবং কোভিড-১৯ এর সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিধানসভা অধিবেশনের আয়োজন করা হবে, বলেন তিনি।