স্টাফ রিপোর্টার, কমলপুর, ৩১ আগস্ট।।
৩৫ বছর পরও সন্ত্রাসের দগদগে ক্ষত মনে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন আক্রান্ত পরিবারগুলো। সময় মুছে দিতে পারেনি ভয়ের আবহ এখনো।
১৯৮৬ সালের আগস্ট মাসের এক সন্ধ্যায় স্বাধীন ত্রিপুরার দাবী নিয়ে উগ্রবাদের পন্থা অবলম্বন করা টিএনভি সন্ত্রাসীদের তপ্ত বুলেট ছিনিয়ে নিয়েছিল তাজা ১৪টি প্রাণ।
দেড় বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ , মহিলা কেউই রেহাই পায় নি এদিনের বীভৎসতা থেকে। আহত হয়েছিলেন আরো আট নয় জন। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৩৫ বছর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে পরিস্থিতি।
সন্ত্রাসের কালো দিনগুলো থেকে মানুষ এখন প্রায় মুক্ত। এই পরিস্থিতিতে কেমন আছেন স্বজনহারা পরিবারগুলো। নতুন প্রজন্ম কতটুকু ওয়াকিবহাল এই নারকীয়তা সম্পর্কে। এই বিষয়ে সেদিনের বীভৎসতার কথা স্মৃতি হাতড়ে জানালেন প্রবীণ গৌরাঙ্গ দেব।
উনি সেদিনের ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের মোট ৭ জনকে। ৪ জন মারা যান ঘটনাস্থলে। বাকী তিনজন আহত অবস্থায় ছিলেন। কিছুদিন পর মারা যান। পূর্ব লাম্বুছড়ার প্রবীণ প্রতাপ চন্দ্র ঘোষ ঘটনার সময় ছিলেন বাজারে। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে দেখতে পান বীভৎসতা।
সেই সময় তিন বছর বয়স ছিল পূর্ব লাম্বুছড়া ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা গৌতম দেব এর। বৈরীদের ছোড়া গুলি বিধেঁছিল তার শরীরে। সেই ঘটনায় মা, দাদু ও দেড় বছর বয়সী ছোট ভাইকে হারিয়েছেন গৌতম।
আজো সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেন নি তারা।হয়তো সময় একদিন মুছে দেবে সব স্মৃতি। আতঙ্ক কাটিয়ে জীবনের ছন্দে মেতে উঠবে পরিবারগুলো। কিন্তু তারজন্য আরো কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।