চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: রোমাঞ্চকর ফাইনালের অপেক্ষায় লিসবন

নতুন অনলাইন ডেস্ক, ২১ আগস্ট।। নানা বাঁক পেরিয়ে শেষের দুয়ারে দাঁড়িয়ে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ফাইনালে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি। এক দলের সামনে ইউরোপ সেরার মঞ্চে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা উঁচিয়ে ধরার হাতছানি, আরেক দলের সামনে প্রথম।পর্তুগালের লিসবনে আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।

অলিম্পিক লিওঁকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। সেবার শিরোপা জেতার পর থেকে চার আসরে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল জার্মান দলটি।ফরাসি লিগে আধিপত্য করা পিএসজি ইউরোপ সেরার মঞ্চে পারছিল না সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। এবার কোয়ার্টার-ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তাকে হারিয়ে ও শেষ চারে জার্মানির লাইপজিগের স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে প্রথমবারের মতো উঠেছে ফাইনালে।

১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে এমন দুই দল, যারা প্রতিযোগিতাটিতে এসেছিল নিজেদের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে।ফাইনাল হবে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার ঘরের মাঠ স্তাদিও দা লুজে। করোনাভাইরাসের কারণে দর্শক থাকছে না শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচেও। তবে টেলিভিশনের পর্দায় ঠিকই চোখ থাকবে লাখ লাখ মানুষের।পিএসজির আক্রমণের মূল দায়িত্বে থাকছেন যথারীতি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। সঙ্গে আছেন বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে।

দারুণ ছন্দে আছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আনহেল দি মারিয়া। শেষ চারে গোল করে ও করিয়ে লাইপজিগের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয়ের নায়ক তিনিই।শেষ চারে লিওঁর গতিময় আক্রমণে বায়ার্নের রক্ষণের দুর্বলতা বারবার ফুটে উঠেছে। ফাইনালেও এই দশা থাকলে নেইমার-এমবাপেদের বিপক্ষে চড়া মাশুল দিতে হতে পারে বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের। দলটির কোচ হান্স ফ্লিক তাই সতর্ক।“পিএসজি দুর্দান্ত দল। কিছু বিষয় আমরা বিশ্লেষণ করব, আমরা জানি তাদের দ্রুতগতির খেলোয়াড় আছে।

আমরা আমাদের রক্ষণকে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করব, তবে আমরা জানি আমাদের বড় শক্তি প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা।”স্বপ্নের মতো মৌসুম কাটছে বায়ার্নের রবের্ত লেভানদোভস্কির। এখন পর্যন্ত আসরে করেছেন সর্বোচ্চ ১৫ গোল। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে এই পোলিশ স্ট্রাইকারের গোল ৫৫টি। লেভানদোভস্কি, টমাস মুলার ও লিওঁর বিপক্ষে জোড়া গোল করা সের্গে জিনাব্রির সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে পিএসজির রক্ষণকে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে দুই দলের ডাগআউটে থাকছেন দুই জার্মান কোচ।সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ টুখেল ২০১৮ সালে পিএসজির দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দলে পরিণত করেছেন ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।

ফ্লিক বায়ার্নের দায়িত্ব নিয়েছেন কেবল গত নভেম্বরে। তবে দলে প্রভাব রেখেছেন দারুণভাবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টানা ২৯ ম্যাচে অপরাজিত বায়ার্ন; জিতেছে ২৮টি, অন্যটি হয়েছে ড্র। এই সময়ে দলটি গোল করেছে ৯৭টি আর হজম করেছে মাত্র ২২টি।কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বায়ার্ন অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে থাকবে। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় এরই মধ্যে তারা ফাইনাল খেলেছে ১০টি, এর পাঁচটিতেই জিতেছে শিরোপা।আর পিএসজি এর আগে সেমি-ফাইনাল খেলেছে কেবল একবার। ইউরোপে তাদের সেরা সাফল্য ১৯৯৬ সালের কাপ উইনার্স কাপ জয়।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?