Supreme Court: রাজ্যগুলোকে অনাথদের বেসরকারি বা সরকারি স্কুলে শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে

অনলাইন ডেস্ক, ২৭ আগস্ট।। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, মার্চ ২০২০ তে কোভিড মহামারির শুরু হওয়ার পর থেকে বেসরকারি স্কুলগুলোতে অনাথ শিশুদের শিক্ষা বর্তমান শিক্ষাবর্ষে কোনও বাধা ছাড়াই চলতে হবে।

আদালত বলেছে স্কুলগুলোকে ফি মওকুফ করা বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের শিশুদের অর্ধেক ফি মওকুফ করার জন্য বলা যেতে পারে। আদালত রাজ্যগুলোকে শিশু কল্যাণ কমিটি এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এবং এসব শিশুরা যেসব বেসরকারি স্কুলে পড়ছে তাদের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এ বছর তাদের শিক্ষা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। গত শুনানিতে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের অধীনে অনাথদের জন্য পরিচালিত সমস্ত কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাগুলো সেই শিশুদেরও দেওয়া উচিত যারা কোভিড-১৯ এর সময়ে তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে।

স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও অনাথদের বিষয়ে তথ্য না দেওয়ার জন্য অনেক রাজ্যকে আদালত তিরস্কার করেছে। আদালত রাজ্যগুলোকে অনাথ শিশুদের তথ্য সংগ্রহের জন্য চাইল্ড কেয়ার হেল্পলাইন, পুলিশ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীসহ প্রত্যেকটি বিভাগের সাহায্য নিতে নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়ছে, মহামারিজনিত কারণে অনাথ হওয়া শিশুদের বড় হতে তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এই অর্থ পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে দেওয়া হবে।

এরপরে, আদালত জানতে চায় যে কেবল করোনার ফলে নয়, করোনাকালে অনাথ হওয়া সমস্ত শিশুদের কেন এই সহায়তা দেওয়া যাবে না? এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ মার্চ ২০২০ থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ২৭ টি শিশু অনাথ হওয়ার কথা বলা আদালত অবাক হয়েছে। কারণ এ পর্যন্ত যত রাজ্য পরিসংখ্যান দিয়েছে তা সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার।

বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে আদালত কঠোর মন্তব্য করে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি অনাথদের সংখ্যা নির্ণয় করতে না পারে, তাহলে অন্য কোনো সংস্থাকে এই কাজটি দিতে হবে। শীর্ষ আদালত বলেছে, রাজ্যগুলোকে অনাথদের বেসরকারি বা সরকারি স্কুলে শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে।

এর স্ট্যাটাস রিপোর্টের বিবরণ আদালতে দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এব্যাপারে সমস্ত রাজ্যের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ, অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মী এবং সুশীল সমাজ সংগঠনগুলোকে শামিল করতে যারা ২০২০ সালের পরে অনাথ হয়েছে বা মা-বাবার মধ্যে একজনকে হারিয়েছে তাঁদের শনাক্ত করতে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?