অনলাইন ডেস্ক, ২৪ আগস্ট।। করোনার বাড়াবাড়ির পর্যায়ে তড়িঘড়ি স্বীকৃতি দিয়ে ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা মানব দেহে প্রয়োগ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু বিষয়টি যথেষ্ট বিতর্ক তোলে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশে সে সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রায়ালে যথেষ্ট সময় না দিয়ে রুশ নাগরিকদের দিতে শুরু করায় স্পুটনিক ভি’র কার্যকারিতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক বিশেষজ্ঞই প্রশ্ন তুলেছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়ে দেয়, এই টিকাকে তারা স্বীকৃতি দেবে না।
এরপরও রুশ ভ্যাকসিনের প্রতি মানুষের আস্থা কমেনি। বরং বাকি দেশগুলোতে টিকা দিতে দেরি করায় রাশিয়ায় গিয়েও স্পুটনিক ভি নিয়েছেন অনেকে। তেমনি একজন ডয়চে ভেলের নাটালিয়া স্মোলেনচেভা।নিজের দেশে গিয়ে টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরও তাকে নানাভাবে ভুগতে হচ্ছে বলে জানালেন।
ছয় মাস আগে রাশিয়ায় নিজের বাড়িতে গিয়েছিলাম নাটালিয়া। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনার হাত থেকে বাঁচতে স্পুটনিক ভি দেন। জার্মানিতে তখনো তার বয়সের মানুষদের টিকা নেওয়ার সুযোগ আসেনি। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে এখন তাকে ভুগতে হচ্ছে। কারণ স্পুটনিক ভি ইইউ অ্যাপ্রুভ করেনি। তাই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া সত্ত্বেও তাকে নিয়মিত করোনা টেস্ট করাতে হচ্ছে, বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে কোয়ারান্টিনেও থাকতে হচ্ছে।
জার্মানির ডাক্তাররা অফিশিয়ালি মানতে পারছেন না যে, নাটালিয়া টিকা নিয়েছেন ও সে কারণে তিনি অন্য অনেকের চেয়ে নিরাপদ।এ দিকে ইইউ স্বীকৃতি না নিলেও হাঙ্গেরি, আর্জেন্টিনাসহ মোট ৬০টি দেশে স্পুটনিক ভি দেওয়া হচ্ছে।
গত বসন্তে জার্মানিতে যখন টিকার বেশ সংকট, তখন স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিশায়েল ক্রেস্টশমারও চেয়েছিলেন স্পুটনিক ভি কিনে এনে নিজের রাজ্যের মানুষদের দিতে। এ বিষয়ে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পানের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছিল তার। কিন্তু টিকার সংকট দূর হতেই স্যাক্সনি সেই পথে এগোয়নি। অনেক দেশে স্পুটনিক ভি কার্যকর প্রমাণ হলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, বায়োনটেক-ফাইজার আর জনসন অ্যান্ড জনসনের ওপর তাদের আস্থা।