স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ আগস্ট।। বুধবার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের ১১২ তম জন্ম জয়ন্তী গোটা রাজ্যে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। এদিন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলার বেনুবন বিহারে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে এদিন মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মহারাজার দ্বারাই তৎকালীন সময়ে বুদ্ধ মন্দির বেনুবন বিহার গড়ে উঠেছিল। মহারাজা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও সর্বধর্ম সম মনোভাব নিয়ে এ মন্দিরটি গড়ে তুলেছিলেন। সামাজিক বন্ধন, শিল্প সংস্কৃতি, সাহিত্য সমস্ত দিকে তিনি ঐতিহাসিক পুরুষ ছিলেন। আধুনিক ত্রিপুরা গড়ার জন্য তিনি কাজ শুরু করেছিলেন তৎকালীন সময়ে। রাজ্যে ১৯৩৫ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, বিমানবন্দর, দেশলাই ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেন। আর শুধু এখানেই থেমে ছিলেন না তিনি। শিক্ষা, সামাজিক, আর্থিক সঙ্গতি দিকেও আধুনিক ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। রাজ্য সরকারের সেই দিশায় কাজ করে চলেছে।
মহারাজার স্বপ্ন ছিল আদর্শ ত্রিপুরা মডেল ত্রিপুরা গড়ার। তা আগামী দিনে নিশ্চিত গড়বে। এছাড়াও শ্রীদেব বলেন, ত্রিপুরাবাসী সৌভাগ্যবান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রাজ্যে গীতাশ্রী সরকার চলছে। রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছে। এটা জনতার সরকার। আর সেটা প্রমানিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা জানান, মোদি সরকার বিশ্বাস করে ভারতবর্ষে সমস্ত কিছুই আছে। বিদেশ থেকে এদেশে কোন কিছু আমদানি করার প্রয়োজন নেই। আর ভারতবর্ষের একটি অংশ ত্রিপুরা রাজ্য। ত্রিপুরা রাজ্যের সমস্ত কিছুর পরিপূরক। আর এই রাজ্যের মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর একজন যুগান্তর কোষ বলা যায়।
বহুমুখী প্রতিভা ছিল উনার। রাজ্যবাসী সৌভাগ্যবান উনার মত একজন রাজা পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ত্রিপুরার রূপকার। ১৯৪২ সালে রাজ্যে আধুনিক সংবিধান করেছিলেন তিনি। আর সেই সংবিধানে পিছিয়ে পড়াদের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। আর উনার দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের বর্তমান সরকার এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।