অনলাইন ডেস্ক, ৯ আগস্ট।। কর্ণাটক হাইকোর্ট সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত করার পক্ষে তার অবস্থান সমর্থন করে যুক্তি দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করে, ‘করোনার সময় ধর্মীয় স্থানে যদি ভক্তরা আসতে পারেন, তাহলে নির্বাচনী বুথে ভোট দিতে আসতে অসুবিধে কোথাও?
কর্ণাটক হাইকোর্ট এদিন রাজ্যের কাছে ডিসেম্বর ভোট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চায়। সোমবার অভয় শ্রীনিবাস ওকা ও এনএস সঞ্জয় গৌড়া বিচারপতিদ্বয়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, ‘করোনা অতিমারির কারণ দেখিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার, সেখানে কোন যুক্তিতে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলা রাখা হচ্ছে? ধর্মীয় স্থানগুলিতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ভক্তরা পুজো দিতে পারছে, তবে তারা কেন নির্বাচনী বুথে এসে ভোট দিতে পারবে না? আদালত আরও মনে করিয়ে দেয় যে মহামারি চলাকালীন বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছিল।
আদালত আরও যোগ করেছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনার কাজ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। এর দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায় না। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৪৩ (ইউ) এর ধারা (৩) -এর আদেশ অনুযায়ী স্থানীয় সংস্থা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না দেখে আদালত ২০২০ সালে একটি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে।
গত ১ মে মাসে করোনা মহামারির কারণে গত ২১ ডিসেম্বর জেলা, তালুক, পঞ্চায়েত ও অন্যান্য পৌর সংস্থার নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এই মর্মে রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হয়। প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট রাজ্যের সরকারি আইনজীবী কর্ণাটক আদালতের কাছে ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান।
কর্ণাটক সরকার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। এর পরবর্তীতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বর্ষীয়ান আইনজীবী কে এন ফনীন্দ্র আদালতকে এক বিবৃতি দিয়ে জানান, সমস্ত ডেপুটি কমিশনার নির্বাচনে নিয়ে গত ২৮ জুলাই একটি বৈঠকও করেছেন। তারপরেই কর্ণাটক হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৩ আগস্ট।