অনলাইন ডেস্ক, ২৮ জুলাই।। মে মাসে গাজা সংঘাতের সময় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ‘স্পষ্টত যুদ্ধাপরাধ’ সংঘটিত করেছে। এ মন্তব্য মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের।
বিবিসি এক তদন্তের বরাত দিয়ে জানায়, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতের সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তিনটি বিমান হামলায় যে ৬২ জন বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি হয়েছে তার আশপাশে কোথাও সামরিক লক্ষ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও হানাদাররা বলেছে, গাজায় তারা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করেও ৪,৩০০টি রকেট ছুড়েছে যা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলাতেই পরিণত হয়েছে।
১১ দিনের লড়াইয়ে গাজায় কমপক্ষে ২৬০ জন এবং ইসরায়েলে ১৩ জন নিহত হয়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে যে, গাজায় নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১২৯ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে, ২০০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি ছিল। তবে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস বলেছে যে তাদের ৮০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তদন্তে ইসরায়েলের চালানো তিনটি হামলার ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলছে যে, ওই হামলাতেই সবচেয়ে বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনা ঘটে:
১০ মে বেইত হানুনে হামলা সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র চারটি বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে পড়লে সেখানে আটজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে যে ফিলিস্তিনি একটি রকেটের কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছিল। শাতি শরণার্থীশিবিরে হামলা করা হয় ১৫ মে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি বোমা একটি তিন তলা ভবনে আঘাত হানলে তা ধ্বংস হয়ে যায় এবং ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়। সেসময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছিল যে, ভেতরে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, তারা এ রকম কারো উপস্থিতি সম্পর্কে জানতেন না।
১৬ মে গাজা সিটিতে হামলা সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয় যে, আল-ওয়াহদা স্ট্রিটের কাছে সিরিজ বিমান হামলায় তিনটি বহুতল ভবন ধ্বংস করা হয়। এতে অন্তত ৪৪ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা সশস্ত্র ব্যক্তিদের ব্যবহৃত সুড়ঙ্গকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল এবং ভবন ধসে পড়ার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।