স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৬ জুলাই।। খোয়াই জেলা শাসকের ফোন পেয়ে টনক নড়লো তেলিয়ামুুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা সহ তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকের৷
সোমবার তেলিয়ামুড়া হাট বারের দিনে ডিসিএম প্রদীপ দেববর্মার নেতৃত্বে মাস্ক এনফোর্সমেন্ট ডে এবং রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল এবং পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তেলিয়ামুড়া বাজারে নামে৷ এদিন তেলিয়ামুড়া বাজারে যারা বিনা মাস্কে ঘোরাঘুরি করছে তাদের থেকে জরিমানা আদায় করা হয়৷
সেই সাথে তাদের এন্টিজেন পরীক্ষা করা হয়৷ মোট ৫১ জনের মধ্যে ২ জনের শরীরের করোনার জীবাণু ধরা পড়ে৷ কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, যেখানে সরকারি নিয়ম রয়েছে কোনো লোক করোনা আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে৷
অথবা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে৷ সেই জায়গায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক বিমল দাস এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত দুই মহিলাকে জানায় যে তাঁরা যেন গাড়ি করে বাড়ি চলে যায়৷ সেই বিষয়টি নজরে পড়ে তেলিয়ামুড়ার সাংবাদিকের৷ তাদের আটক করে পুনরায় স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে তুলে দেয়৷
ডিসিএম প্রদীপ দেববর্মা মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করলেও মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক কোনো প্রকার সদুত্তর দেন নি৷ ডিসিএমও তাদের ফেলে চলে যান৷ শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকরা বিষয়টি খোয়াই জেলা শাসকের কাছে পৌঁছায়৷
পরে খোয়াই জেলা শাসকের গুঁতো খেয়ে হুঁশ ফেরে তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য্য আধিকারিক চন্দন বাবুর৷ চন্দন বাবু তড়িঘড়ি ফোন করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক বিমল সহ অ্যান্টিজেন টেস্টের কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের৷ পরে অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি করে বাড়ি পাঠানো হয় দুই করোনা আক্রান্ত মহিলাকে৷
স্বাস্থ্যদপ্তরের এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে রীতিমতো তেলিয়ামুড়ার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ তথ্যাবিজ্ঞ মহলের অভিমত, স্বাস্থ্য দপ্তরের এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে৷