স্টাফ রিপোর্টার, সোনামুড়া, ২৫ জুলাই।। কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু চুরির ঘটনা নতুন নয়। তবে এবারের চুরির ঘটনা একটু অন্যরকম।ঘটনার বিবরণে জানা যায় মধ্যরাতে কলমচৌড়া থানাধীন রহিমপুর উত্তরপাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলি আসবের বাড়ি থেকে চোরের দল সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে দুটি গরু চুরি করে বাংলাদেশ নিয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে গরুর মালিকের ছোট ভাই ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে মোট পাঁচটি গরু থেকে দুইটি বলদ গরু নেই। তখন বাড়ির আশেপাশে দীর্ঘক্ষন খোঁজাখুঁজি করার পর দেখতে পায় বাড়ির সাথে ঘেঁষা কাঁটাতারের বেরা অনেকটা কাঁটা অবস্থায় রয়েছে। তখন পরিবারের লোকজন অনুমান করতে পেরেছেন গরু গুলি চোরের দল বেড়া কেটে বাংলাদেশে চুরি করে নিয়ে গেছে।
সাথে সাথে গরুর মালিক বাংলাদেশ থাকা তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে তার দুটি গরু চুরি হওয়া বিষয়টি জানালে আত্মীয়-স্বজনরা সারাদিন খোঁজাখুঁজি করার পর শেষ পর্যন্ত দুপুরবেলা গরুগুলি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার কেনটারমেন শহর থেকে গরু গুলি উদ্ধার করে বাংলাদেশের নয়নপুর এলাকার সর্দার মুমিন মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে হয়।
বর্তমানে গরুগুলি সরদার মুমিনের বাড়িতেই রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দুই দেশের প্রশাসন অনুমতি না দেয় ততক্ষণ পর্যন্ত গরুগুলি ভারতে আনা অসম্ভব হয়ে পড়বে। জানা গেছে বাংলাদেশে যে চুরের কাছ থেকে গরু গুলি উদ্ধার হয়েছে তার নাম বুলবুল বিয়া।বাড়ি বাংলাদেশের নয়নপুর এলাকায়। তার বাড়ি ভারতেও রয়েছে।
সে নাকি দু দেশের নাগরিক। তার কাছ থেকে জানা যায় এই গরু গুলি চুরি করতে তাকে সাহায্য করেছে ভারতের গরুর মালিকের পাশের বাড়ির যুবক রুবেল মিয়া। এ রুবেল মিয়া দুটি বলদ গরু প্রথমে গোয়াল ঘর থেকে চুরি করে বেড়া কেটে গরু গুলি বাংলাদেশের চোর বুলবুলের হাতে তুলে দেয়।
চোরের দল এ গরু গুলি রহিমপুর সীমান্তের ১৬৩ নম্বর গেইট ও ২০৫৭ নং পিলারের পাশ দিয়েই সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে চুরি করে নিয়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো সীমান্তরক্ষীরা ডিউটিরত অবস্থায় থাকাকালীন সময়েও কিভাবে চোরের দল বেড়া কেটে গরু গুলি এক দেশ থেকে অন্য দেশে চুরি করে নিয়ে যায়।
তবে এলাকাবাসী জানান ৭৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান থাকাকালীন গত পাঁচ বছরে বেড়া হওয়ার পর কোন চুরির ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম রহিমপুর এলাকায় কোন চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান রহিমপুর বিওপিতে নতুন ব্যাটেলিয়ান আসার সাথে সাথে এমন ধরনের ঘটনা ঘটলো।
গরুর মালিক এই চুরি হওয়ার ঘটনা কলমচৌড়া থানায় বারবার জানালেও পুলিশ খবর লেখা অবধি পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর নেননি। এদিকে তার গরু গুলি বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ভারতে আনা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন জাগে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশের বিজিবি যদি ফ্ল্যাগ মিটিং করে গরু গুলি গরুর মালিকের কাছে পৌঁছে দেয় তবে গরুর মালিক অনেক উপকৃত হবেন।
তার এই গরু দুটি বাজার মূল্য প্রায় আশি হাজার টাকা বলে জানান গরুর মালিক। পুলিশ যদি রুবেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে এই চুরির সাথে আর কে কে জড়িত তা বেরিয়ে আসবে। এই চুরির ঘটনাকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।