অনলাইন ডেস্ক, ২২ জুলাই।। অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর একদিন আগে শো ডিরেক্টর কেন্টারো কোবায়াশিকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হত্যাকাণ্ড (হলোকাস্ট) নিয়ে কৌতুক করছেন। ভিডিওটি ১৯৯০ সালের দিকে ধারণ করা।
জাপানের অলিম্পিক প্রধান সিকো হাশিমোটো এই ভিডিওকে ‘ইতিহাসের যন্ত্রণাদায়ক বাস্তবকে’ ঠাট্টায় পরিণত করার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
টোকিও অলিম্পিক ঘিরে একের পর এক কেলেঙ্কারি হচ্ছে। একদিন আগে একজন কম্পোজার ইভেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ ছিল।
পাশাপাশি ঝামেলা শুরু হয়েছে করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে। বৃহস্পতিবার আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৯১ জন কভিড পজিটিভ।
কেন্টারো কোবায়াশি বরখাস্ত হওয়ায় এই শো কীভাবে চলবে, তা নিয়ে এখন চিন্তায় পড়েছে কমিটি।
অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে গোটা পৃথিবীর আগ্রহ থাকে। রীতিমতো এক মহাযজ্ঞে পরিণত হয় আয়োজন। এবার করোনার কারণে অতটা ব্যাপক আয়োজন অবশ্য থাকবে না।
অলিম্পিক কমিটি বলছে, ‘একজন মানুষ যতই ক্রিয়েটিভ হন না কেন, নাজি গণহত্যার মতো বিষয়ে কৌতুক করা মানায় না। ’
ইউরোপীয় দেশগুলোতে ‘ল অ্যাগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট’ বলে একটা আইন আছে। রীতিমতো সংসদে পাশ করা আইন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাজি বাহিনী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে, তাকে অস্বীকার করার চেষ্টা, এমনকি গণহত্যার তীব্রতা লঘু করে দেখার প্রচেষ্টাও এই আইনে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হলোকাস্টের তীব্রতা নিয়ে, মৃতদের সংখ্যা নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা প্রশ্ন তোলা ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
‘হলোকাস্ট’ নিয়ে যারা ভিন্নমত পোষণ করেন তারা শব্দের মারপ্যাঁচে ‘ডিনায়াল’ বা অস্বীকৃতিকে ‘রিভিশনিজম’ দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হলোকাস্ট নিয়ে ইউরোপীয় আইন সেটিকেও ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসেবে আমলে নেওয়ার বিধান করেছে।