স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ জুলাই৷। বুধবার, ২১ জুলাই পবিত্র ইদুজ্জোহা৷ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন এই ইদের দিনে পশু কুরবানি দিয়ে তার মাংস গরিব অংশের মধ্যে বিলিয়ে দেন৷
রাজ্যের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরাও ইদের দিনে পশু কোরবানি দিয়ে নিজেদের রীতি-রেওয়াজ পালন করেন৷ করোনা মহামারির কারণে এতো সবে কিছুটা ভাটার টান থাকলেও কোভিড বিধিনিষেধ মেনে ধর্মপ্রাণরা বাড়িঘরে ইদ পালন করবেন৷
আসন্ন ইদ উৎসবকে সামনে রেখে রাজধানীসহ রাজ্যের সর্বত্র মিশ্র বসতি এলাকা গুলোতে নিরাপত্তা বাড়ালো আরক্ষা প্রশাসন৷ রাজধানীর জয়পুর, বর্ডার গোলচক্কর, বিটারবণ, রাজনগর, দক্ষিণ চন্দ্রপুর সহ প্রভৃতি এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে৷ বিগত বছরে রাজনগরে ইদের প্রাক্কালে সংঘটিত আনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার কারণে এবছর ওইসব এলাকায় বাড়তি সিআরপিএফ টহলের ব্যবস্থা করেছে সদর মহকুমা পুলিশ৷
ইদের দিন পর্যন্ত পুলিশের এই নিরাপত্তা টহল জারি থাকবে বলে সূত্রের খবর৷ প্রসঙ্গত গত কয়েক বছর যাবৎ রাজ্যে ইদুজ্জোহা তথা কোরবানির ইদকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ আসছে৷ বিশেষত শাসক দলের নাম ভাড়িয়ে উগ্র কিছু ধর্মীয় সংগঠন গো হত্যা বন্ধ করতে হবে বলে বিভিন্ন ধরনের সাম্প্রদায়ীক হুমকি দিচ্ছে৷
কোথাও কোথাও হামলা এবং ইদের পশু বাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে বিগত বছরগুলোতে৷ রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাসে এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রীতিকর বলেই শুভবুদ্ধি মহলের অভিযোগ৷ এসব অপ্রীতিকর ঘটনার পর অনেকেই শাসকদল এবং সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছিলেন৷
তাই ইদকে সুশৃংখল এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে রাজ্যের সর্বত্র ইদের প্রাক্কালে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন স্তরে আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে৷
প্রশাসন সূত্রে খবর, এমনিতেই ইদের দিনে বেলা দুইটার পর দোকানপাট বন্ধ থাকছে এবং সন্ধ্যা থেকে কারফিউ জারি আছে৷ সকালে সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং করোনা বিধিনিষেধ মেনে সংখ্যালঘু অংশের মানুষজন ধর্মীয় আচার আচরণ করতে পারবেন৷
এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে গোটা রাজ্যে৷ তবে ইদের নাম করে কোথাও যেন অহেতুক ভিড় এবং ঘোরাফেরা না চলে সেই ক্ষেত্রেও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর ভাবে নজরদারি রেখেছে বলে সূত্রের দাবি৷