স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৮ জুলাই।। লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনও শুনশান রাস্তাঘাট। সর্বত্র ছিল এক ঝাপ বন্ধ। এদিনও সকাল থেকে রাজধানী নাগেরজলা, মোটরস্ট্যান্ড এবং চন্দ্রপুর আই এস বি টি -তে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ যান চলাচল ছিল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ।
বাজার গুলিতে তিন ভাগের এক ভাগ দোকান খোলা থাকার কথা থাকলেও, বাজার সমিতি সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাতেগোনা কয়েকটি সবজি ও গ্রোসারি দোকান খুলা ছিল বটতলা এবং মহারাজগঞ্জ বাজারে। বিশেষ করে মহারাজগঞ্জ বাজারে মাছ এবং মাংসের বাজার লকডাউনের দিনগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবজি বাজার খোলা থাকলো খুব কম দোকানেই খোলা ছিল মহারাজ বাজারে। কারণ পরী অলিগলিতে সবজি বিক্রি করতে বের হয়েছিল বহু সবজি ব্যবসায়ী। কিন্তু ক্রেতাদের মন তো আর ভরে না ঘরের সিদ্ধ ভাতে। সকাল থেকে বাড়তে থাকে মহারাজগঞ্জ সবজি বাজারে ক্রেতাদের ভিড়। এতে কোন প্রশাসনিক কর্মী বা বাজার সমিতি কোন নেতৃবর্গকে দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের সচেতন করতে। সামাজিক দুরত্ব ছিল না বলে চলে।
অবশেষে সচেতন মহলের মধ্যে গুঞ্জন সৃষ্টি হতেই সবজি বাজারে নাকের ডগা মহারাজগঞ্জ ফাড়ি থেকে উদাসীন কিছু পুলিশকর্মী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কর্ম ব্যস্ততা দেখায়। তবে শহরের বটতলা, প্যারাডাইস চৌমুহনী, মোটোরস্ট্যান্ড, আশ্রম চৌমুহনী, রাধানগর স্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের চেকিং চলে সকাল থেকে। বিনা প্রয়োজনে এদিন যেসব অত্যুৎসাহিরা রাস্তায় বের হয়েছিল তাদের দাঁড় করিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেয়। গোটা শহরের ছবি ছিল জনশূন্য। অর্থাৎ লকডাউনের দ্বিতীয় দিনও শহরবাসী স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া।