অনলাইন ডেস্ক, ৯ জুলাই।। সর্বশেষ মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনির্ভাস (এমসিইউ) মুভির দুই বছর পর আর নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর আজ মুক্তি পাচ্ছে ‘ব্ল্যাক উইডো’। গরমের সবচেয়ে হিট রিলিজ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে সুপার হিরোইন সিনেমাটিকে। সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে তো?
অবশ্য কিছুদিন আগেই অ্যাকশন ছবি ‘এফনাইন’ জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বের অনেক জায়গায় মহামারি সচল থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ব্যবসা দিয়ে বক্সঅফিসে নতুন রেকর্ড দেখানো সম্ভব।
২০১০ সালে ‘আয়রন ম্যান টু’ দিয়ে এমসিইউতে প্রবেশ ব্ল্যাক উইডো চরিত্রের স্কারলেট জোহানসনের। এর ১১ বছর পর এলো প্রথম একক মুভি। সঙ্গে আছেন ফ্লোরেন্স পাগ, ডেভিড হার্বার, উইলিয়াম হার্ট, র্যাচেল ভাইসসহ অনেকে। পরিচালনায় আছেন সামারসল্ট, লোর ও বার্লিন সিনড্রোমের মতো সিনেমা দিয়ে পরিচিত কেট শর্টল্যান্ড।
‘ক্যাপ্টেন আমিরকা: সিভিল ওয়ার’ পরবর্তী কাহিনি নিয়ে আবর্তিত হয়েছে ‘ব্ল্যাক উইডো’, থাকছে সাবেক রাশিয়ার গুপ্তচরের বেড়ে ওঠার গল্প। আর এটি সিরিজির ‘এনফিনিটি ওয়ার’ ও ‘এন্ডগেম’-এর প্রিক্যুয়ালও বটে। পরিচালক শর্টল্যান্ড সিক্যুয়াল নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেও এটি হতে যাচ্ছে ব্ল্যাক উইডো বা রোমানঅফের শেষ ছবি। কারণ চরিত্রটি ‘এন্ডগেম’ ছবিতে মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪১০০ প্রেক্ষাগৃহ পেয়েছে ‘ব্ল্যাক উইডো’। সঙ্গে যাচ্ছে চীনের মতো বড় আন্তর্জাতিক বাজারে।
মহামারির সময়ে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৭ কোটি ডলার আয় করে সপ্তাহান্তে রেকর্ড গড়েছে ‘এফনাইন’। সে রেকর্ড ভাঙতে পারবে তো মার্ভেল সুপারহিরো— সে দিকেই এখন সবার চোখ।
মনে রাখতে হবে, মার্ভেলের সর্বশেষ ১০ সিনেমার মধ্যে মাত্র দুটি প্রথম তিনদিনে ১০ কোটি ডলারের কম আয় করেছিল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বাভাবিক সময় হলে ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’ (১৫ কোটির বেশি) বা ‘থর: রাগনারক’ (১২ কোটির বেশি)-এর চেয়ে এগিয়ে থাকতো ‘ব্ল্যাক উইডো’। তবে একইসঙ্গে স্ট্রিমিং সাইট ডিজনি প্লাসের মুক্তি আয়ে প্রভাব ফেলতে পারে।
করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক মার্ভেল সিনেমা আটকে পড়েছে। ‘ব্ল্যাক উইডো’র মাধ্যমে সেই জট কাটতে যাচ্ছে। চলতি বছরে আরও মুক্তি পাবে শ্যাং-চি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অব দ্য টেন রিংস, এটারনালস ও স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম।