Uncertainty in the Fuel Market : জ্বালানির বাজারে অনিশ্চয়তা, তেলের দাম ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

অনলাইন ডেস্ক, ৯ জুলাই।। ওপেক প্লাসের নেতা সৌদি আরব ও রাশিয়া উৎপাদনের মাত্রা কম রাখার মেয়াদ আরও আট মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে সংযুক্ত আরব আমিরাত তা প্রত্যাখান করে। এর থেকেই গত সপ্তাহে তৈরি হয় সমস্যা।

বিবিসি এক প্রতিবেদন জানায়, তেল উৎপাদনের কোটা নিয়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রকাশ্য ও তিক্ত মতভেদ বড় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর আলোচনা স্থগিত করে দিয়েছে।

এর ফলে জ্বালানির বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং তেলের দাম ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ওপেক প্লাস গোষ্ঠীর ২৩টি দেশের মধ্যে রয়েছে মূল ওপেকের সদস্য দেশ এবং সদস্য নয় এমন তেল উৎপাদনকারী সহযোগী দেশ, যাদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ওমান, বাহরাইনসহ ১০টি দেশ।

আমিরাতের প্রত্যাখানের পর ওপেক প্লাসকে আলোচনা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিতে হয়েছে। এতে এই গোষ্ঠী টিকবে কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

মহামারির কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকটের সময় গত ১৮ মাস এই গোষ্ঠী তেলের সরবরাহ অক্ষুণ্ন রাখার কাজ পরিচালনা করেছে।

আমিরাত চায় উৎপাদনের যে মাত্রাকে মূল ভিত্তি হিসাবে এখন ধরা হচ্ছে সেটা পুনর্নিধারণ করা হোক। অর্থাৎ, উৎপাদন কতটা কমানো বা বাড়ানো হবে তা হিসাব করার জন্য যে মাত্রাকে ভিত্তি হিসাবে ধরা যাচ্ছে, তা আলোচনার মাধ্যমে বাড়ানো হোক, যাতে তেলের উত্তোলন আরও বাড়ানোর ব্যাপারে তাদের স্বাধীনতা থাকে। কিন্তু সৌদি ও রাশিয়া এর বিপক্ষে।

এ নিয়ে প্রকাশ্যে মতভেদ জানিয়েছেন সৌদি ও আমিরাতের জ্বালানি মন্ত্রী। যা সবাইকে চমকে দিয়েছে বলে জানান ওয়াশিংটনে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশানাল স্টাডিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেন কাহিল।

তার মতে, ওপেক যে কোটা বেঁধে দিয়েছে তা আবু ধাবির উৎপাদন সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আবু ধাবি তেল উৎপাদন শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এখন চাহিদাও আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আমিরাত তাদের উৎপাদন বাড়াতে না পেরে গত বছর হতাশ হয়েছে।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?