স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২২ জুলাই ।। রাজ্যে এবার গণধর্ষণের শিকার এক উপজাতি কিশোরী। উপজাতি কিশোরীর বয়স ১৭। ঘটনা মহকুমা শহর তেলিয়ামুড়ায়। এই খবর দিয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার আনুমানিক সাতটা নাগাদ মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন পানবাড়ি এলাকার কোচরাই পাড়ার বাসিন্দা ১৭বছরের কিশোরীর সাথে চাকমাঘাট এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ সরকারের ছেলে রূপেস সরকারের প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে রূপেস সরকার (২০) মেয়েটিকে চাকমাঘাট স্থিত একটি ইকো পার্কের খবর দিয়ে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরে কিশোরীর বাড়িতে ফেরত পাঠাতে রুপেস চাকমাঘাটস্থিত অটো স্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। এই সময়ে রূপেসের পরিচিত কাসেম মিঞা (৩৫), জায়েদ মিঞা(২২) দুইজনে গাড়ি নিয়ে অটো স্ট্যান্ডে এলে ঐ নাবালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রুপেশ তাদের অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধ অনুযায়ী কাসেম নাবালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের একটি গাড়িতে তুলে। যদিও জাহেদ মিঞা এই কিশোরীর নিকটাত্মীয়। পরে জাহিদ মিঞা ও কাসেম মিঞার সাথে আরো তিন যুবক আহমেদ আলি (২৩), গনি মিয়া (২৪), সহ অপর এক যুবক তাদের সঙ্গী হয়। মেয়েটিকে নিয়ে এই পাঁচজন দুটি নম্বরবিহীন গাড়িতে তার মধ্যে একটি মারুতি অল্টো এবং একটি ওয়াগনার গাড়ি করে নিয়ে যায়। অভিযোগ, এই মেয়েটিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে না নিয়ে গিয়ে তাকে তেলিয়ামুড়া থানাধীন খাসিয়ামঙ্গলের দিকে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। জানা যায়, গাড়ির মধ্যেই সংঘবদ্ধভাবে পাঁচজন জোর পূর্বক ভাবে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর মেয়েটিকে নিয়ে দুটি গাড়ি তেলিয়ামুড়া নেতাজি নগরস্থিত ইউবিআই ব্যাংক সংলগ্ন স্থানে রাত আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ ফেলে দিয়ে যায়। পরে ধর্ষিত কিশোরীর তার প্রেমিক রুপেসের মোবাইলে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানায় এবং তাকে আসতে বলে। সাথে সাথেই প্রেমিক রুপেস নেতাজি নগর ইউবিআই ব্যাংক সংলগ্ন স্থানে এসে বাইকে করে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিলে মেয়েটি বাড়িতে যেতে অস্বীকার করে। তেলিয়ামুড়া থানায় আসে। ঘটনার বিবরণ ও অভিযুক্তদের নাম ধাম দিয়ে অভিযোগ করে। মামলা নম্বর হল ৭৯/২০২০। তবে মূল অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাবালিকার প্রেমিক রূপেস সরকারকে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে।