10323 : শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার কাছে একগাদা প্রশ্নের উত্তর চাইল ১০৩২৩ এর একাংশ

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩ জুলাই।। রাজ্যে বিজ্ঞান শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়মিতকরণের সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের চাকরিচ্যুত শিক্ষক- শিক্ষিকাদের নিয়ে সৃষ্টি হতে শুরু করেছে নয়া জট৷ একই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হওয়া চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়ে দীর্ঘ ১৫ মাস যাবৎ বেকার হয়ে আছে৷

আবার কারোর চাকরি মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্তক্রমে নিয়মিত করা হয়েছে৷ শনিবার বিকেলে চাকরিচ্যুত শিক্ষক- শিক্ষিকাদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চান্দনী চন্দ্রনের সাথে দেখা করে জবাব চায়৷ চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, কোন টার্মিনেশন পেপার ছাড়াই দীর্ঘ ১৫ মাস যাবৎ ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে৷ কিন্তু তাদের প্রশ্ণ হাইকোর্টের কোন পেপারের ভিত্তিতে চাকরিচ্যুত হতে হয়েছে তাদের৷

২০১২ সালে ৩৭ জন যারা ২০১০ সালে ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে মামলা করেছে,  সেই ৩৭ জনের দাবি ছিল ২০০৩ সালে নিয়ম নীতি অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে ১০,৩২৩ জনকে৷ তা সম্পূর্ণ বেআইনি পরবর্তী সময় সেই ৩৭ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়৷ এর সুবাদে হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্টের নিয়ম নীতি পরিলক্ষিত করার জন্য জানায় সরকারকে৷ পরে সেই ৩৭ জনের মধ্যে থেকে ২০১২ সালে তারাও একই পদ্ধতি অর্থাৎ ২০০৩ সালের নিয়মনীতিতে নিয়োগ হয়৷

তখন সেই মামলাকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা উচ্চ আদালত তথা হাইকোর্ট থেকে নিজেদের মামলা তুলে নেয়৷ আর সেই বিষয়ে এখন প্রশ্ণ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি ২০১২ সালের সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টার্মিনেশন করবে নাকি নিয়মিত করবে? সে বিষয়ে সদুত্তর খুঁজতে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকের কাছে গিয়েছেন বলে জানান চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ সাহা৷

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন আগামী দিন চলতে থাকবে৷ তাতে ২০১২ সালের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যদি সমস্যায় পড়তে হয় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন একমাত্র শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা দপ্তর৷ প্রয়োজনে সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত যাবে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলে জানান তিনি৷

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রাক্তন অধিকর্তাদের অপদার্থতার কারণে তাদের চাকরিচ্যুত হতে হয়েছে বলে তাদের অভিমত৷ আর কোন দিন যদি তারা চাকরি ফিরে পায় তাহলে দপ্তরের প্রাক্তন আধিকারিকদের কাঠগড়ায়  পর্যন্ত নিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন বিজয় কৃষ্ণ সাহা৷ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণের জন্য দপ্তরের অধিকর্তাকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়৷

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?