অনলাইন ডেস্ক, ৩ জুলাই।। প্রায় ২০ বছর অবস্থানের পর আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন সেনারা দেশটির বাগরামে অবস্থিত বিমানঘাঁটি ত্যাগ করেছে। শুক্রবারের এ ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার বাহিনীকে পুরোপুরি সরিয়ে নিতে পারবে তো?
ওই দিনই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, সেনা প্রত্যাহার আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শেষ করা যাবে না। আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
হোয়াইট হাউসে তার কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সৈন্য দল সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হবে কি-না, যার উত্তরে বাইডেন ‘না’ বলেন।
১১ সেপ্টেম্বর সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি। আমি পর্যাপ্ত সময় নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যাতে সেপ্টেম্বরের আগে সব কাজ শেষ করা সম্ভব হয়। ”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, রবিবারের মধ্যে আফগানিস্তানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর কোন ঘোষণার সম্ভাবনা নেই।
যদিও বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে (৪ জুলাই) আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন হতে পারে।
এ দিকে আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে জোটবাহিনী। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ১৯টি দেশ আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ইতিমধ্যে জার্মানি, ইতালি ও পর্তুগাল সেখান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিয়েছে।
গত এপ্রিলে বাইডেন ঘোষণা দেন, ২০ বছরের সামরিক সংশ্লিষ্টতার পর আমেরিকান সৈন্যরা ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। এরপর একই ঘোষণা দেয় ন্যাটো বাহিনী।
ঘোষণা অনুযায়ী, ১ মে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করে। সে দিন থেকে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে, নিহত ও আহত হয়েছে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ।
এ সব কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যে আফগান সরকার ও তার সেনাবাহিনী বেহাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।