অনলাইন ডেস্ক, ২ জুলাই।। বিবাদমান বিশ্বে ‘নিরপেক্ষ’ দেশ হিসেবে পরিচিত সুইজারল্যান্ড কিনতে যাচ্ছে ডজনের বেশি যুদ্ধবিমান। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রজন্মের ফাইটার জেট লকহিড মার্টিনের এফ-৩৫এ লাইটনিং টু যুক্ত হচ্ছে তাদের ভাণ্ডারে। বুধবার সুইস সরকার খবরটি জানায়। তবে এ সিদ্ধান্তকে অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছে বিরোধীরা।
প্রায় ৫৫০ কোটি ডলারের এই চুক্তির বলে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র প্রকল্পে ১৫তম দেশ হিসেবে সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। একক-ইঞ্জিনের এ জেট যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও অংশীদাররা ব্যবহার করছে। পাশাপাশি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ২১০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রয়থিওনের সঙ্গে। এ দিকে শুরু থেকেই একাধিকবার বাজেট বৃদ্ধির সংকটে ভুগেছে এফ-৩৫।
এর সঙ্গে রয়েছে কারিগরি জটিলতা। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্প সক্ষমতার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ। অনেক দিন ধরে এ যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে বিতর্ক হচ্ছে। তবে সরকার বলছে, সবচেয়ে কম খরচে তারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত সুইজারল্যান্ড সর্বশেষ যুদ্ধে জড়ায় উড়োজাহাজ আবিস্কারের আগে ১৫১৫ সালে।
এবার ইউরোফাইটার, রাফায়েল ও সুপার হর্নেটের মতো প্রতিযোগীদের সরিয়ে দেশটি বেছে নিল সর্বশেষ প্রযুক্তির এফ-৩৫। দীর্ঘদিন নিরপেক্ষতার মর্যাদা ভোগ ও দৃশ্যমান কোনো শত্রু না থাকলেও দেশটির নীতি হলো শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখা। এর আগে ২০১৪ সালে সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব ভোটাভুটির মাধ্যমে বাতিল হয়ে যায়।
২০১৪ সালে ছিনতাইকারীরা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজকে জেনেভা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামতে বাধ্য করে। তখন সাত সকালে এগিয়ে আসে ইতালি ও ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান। সেদিনও সাধারণ সময়ে খোলা হয়েছিল সুইস বিমানবাহিনীর অফিস। ২০২০ সালে যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে ভোটাভুটি হয় সুইজারল্যান্ডে। ৩০ লাখ ভোটের মধ্যে মাত্র ৯০০০ হাজারের ব্যবধানে বিমান কেনার প্রস্তাবটি পাস হয়। এটি পাস না হলে নিউজিল্যান্ডের পর দ্বিতীয় কোনো দেশ হিসেবে যুদ্ধবিমান থাকতো না সুইজারল্যান্ড বিমানবাহিনীতে।