নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুন।। কেরালায় গর্ভবতী হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু সম্ভবত ত্রিপুরা সরকারকে নতুন বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে। কারণ, হাতির গতিবিধি নজরদারির জন্য রেডিও-কলার যন্ত্র ক্রয়ের চিন্তাভাবনা করছে ত্রিপুরা সরকার। এবিষয়ে মুখ্য বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন ডঃ দি কে শর্মা বলেন, রেডিও কলারিং যন্ত্র বহিঃরাজ্য থেকে আনবে ত্রিপুরা সরকার। তাঁর দাবি, বন্য হাতির তান্ডব থেকে মানুষের প্রাণ এবং সম্পদ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে। তাঁর কথায়, মাদী হাতির গলায় ওই যন্ত্র লাগানো হবে। তাতে, হাতির পাল কখন কোথায় যাচ্ছে তা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। তাঁর দাবি, ওই যন্ত্রটি মাদী হাতির গতিবিধির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে প্রতি মুহুর্তের তথ্য সরবরাহ করবে। তাতে, বন দফতরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় এই প্রথম এ-ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করবে বন দফতর। কারন, বর্তমানে ৪২টি বন্য হাতি এবং ৬০টি হাতি বিভিন্ন ব্যক্তির জিম্মায় রয়েছে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় ৮ জেলায় কত সংখ্যাক বন্য হাতি রয়েছে তার সমীক্ষা চলছে। এখন খোয়াই এবং গোমতী জেলায় বেশিরভাগ হাতি দেখা যায়। এদিন তিনি জানান, ইতিপূর্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেছে। ডুয়ার্স, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গে হাতির উপদ্রব থেকে সাধারণ মানুষ-কে বাঁচাতে রেডিও কলার যন্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় হাতি-র আক্রমনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে খোয়াই জেলায় কল্যাণপুরর অধীন উত্তর ঘিলাতলী এডিসি ভিলেজের বিদ্যামোহন চৌধুরী পাড়ায় চিত্ত মোহন দেববর্মা(৬২) হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে। গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ ঘিলাতলী গ্রামের ওয়াতিলং টিলা এলাকায় গভীর জঙ্গলে বাচ্চা হাতি-র মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়াও, হাতি-র তান্ডবে ক্ষয়ক্ষতির বহু ঘটনা রয়েছে। গত ১৫ জুলাই কেন্দ্রীয় বন রাষ্ট্র মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সংসদে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৯৬৫১টি হাতি রয়েছে। তার মধ্যে ত্রিপুরায় ২০১৭ পর্যন্ত ১০২টি হাতির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।