নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুন৷৷ ত্রিপুরা থেকে বহিঃরাজ্যে পাচারকৃত নাবালিকার দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ ১৪ বছর বয়সি ওই নাবালিকা আড়াই মাসের গর্ভবতীও৷ ফলে তাঁর চিকিৎসা ও সুস্থ করে তোলার বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তাজনক বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থানের ঝুনঝুনু থেকে হিন্দুস্থান সমাচার-এর সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ঝুনঝুনুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে৷ বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৬৷ মঙ্গলবার সকালে আটটি এবং সন্ধ্যায় আরও আটটি নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ তাদের মধ্যে পাঁচজন পিলানি শহরের বাসিন্দা৷ বিডিকে হাসপাতালের পিএমও ডা. শুভকরণ কালের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদদাতাটি জানান, ঝুনঝুনু জেলার পিলানি শহরের ওয়ার্ড নম্বর তিনের বাসিন্দা তিন বছরের এক কিশোরীর দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ তেমনি মান্দাওয়া থানা থেকে ১৪ বছরের নাবালিকার নমুনা পাঠানো হয়েছিল৷ তার কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে গত ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরা থেকে রাজস্থান আনা হয়েছিল এবং মান্দাবা শহরের এক যুবকের সাথে তার বিয়েও হয়৷ মে মাসে ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে৷ বিষয়টি কেবল মহিলা কমিশনই নয়, শিশু সুরক্ষা কমিশনেও পৌঁছেছিল৷ তদন্ত চলাকালীন ওই নাবালিকা ত্রিপুরার বাসিন্দা বলে দাবি করে৷ তাঁর বাড়ি ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার চাচুবাজারে অবস্থিত বলে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। এই ঘটনায় ঊনকোটি জেলা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে ওই নাবালিকার ঠিকানা নিশ্চিত করেছে মান্দাওয়া পুলিশ৷ নাবালিকাটি পুলিশকে জানিয়েছে, তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল৷ তাই, সে পালিয়ে গিয়েছিল৷ দুদিন আগে পুলিশ তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ তখন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ আজ তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই নাবালিকার করোনা সংক্রমিতের খবরে মান্দাওয়া থানা আবারও চিন্তায় পড়েছে৷ কারণ যে পুলিশকর্মীরা তার সংস্পর্শে গিয়েছিলেন তাঁদের চিহ্ণিত করে একান্তবাসে পাঠাতে হবে৷ একই সময়ে নাবালিকাকে কেবল একটি বাড়িতে রাখা হয়নি৷ বরং মামলার তদন্ত নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ এমন পরিস্থিতিতে তার সংস্পর্শে কারা এসেছেন তালিকায় অনেক নাম আসতে পারে৷ জেলার পাচেরি একান্তবাস কেন্দ্র থেকে পাঁচ দিন আগে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঠানি পিথোলার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত যুবক এখনও ধরা পড়েনি৷