স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ২১ জুন।। দীর্ঘ বঞ্চনার শিকার হয়ে জেলা হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে গণধর্নায় বসেন কর্মরত সাফাই কর্মীরা৷ দীর্ঘদিন যাবৎ তেপানিয়াস্থিত গোমতী জেলা হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা মালিক পক্ষের দ্বারা বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন৷
বিশেষ করে তাদের মজুরি প্রদান করা হয় না প্রায় তিন মাস যাবৎ৷ এছাড়া ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই সাফাই কর্মীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বরাবর মালিক পক্ষকে সাফাই কর্মীরা তাদের মজুরি প্রদান সহ ন্যায্য পাওনার দাবিতে অভিযোগ জানিয়ে আসলেও কোনো প্রকার হেলদোল নেই তাদের৷
অভিযোগ, গোমতী জেলা হাসপাতালে সাফাই কর্মীদের জন্য নিয়োগ করা নতুন সুপারভাইজার বিশ্বজিৎ সরকার নামে সরকারি কর্মচারী প্রতিনিয়ত সাফাই কর্মীদের সাথে অসভ্য আচরণ করে চলছে৷ শুধু তাই নয়, এই সুপারভাইজার এর হুমকি হুলিয়ার জেরে এক প্রকার তটস্থ গোটা জেলা হাসপাতালের ২৮ জন সাফাই কর্মী৷ বিগত তিন মাসের বকেয়া বেতন পাচ্ছেন না তারা৷
এই দাবি সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে সোমবার ধর্নায় বসেন কর্মরত ২৮ জন সাফাই কর্মী৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উদয়পুর মহকুমার টেপানিয়াস্থিত গোমতী জেলা হাসপাতালের সামনে কর্মরত সাফাই কর্মীরা গত তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না৷ এ বিষয়ে বহুবার তাদের নিয়োগ করা বেসরকারি মালিককে জানালেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না৷
যার ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে সোমবার সকালে কর্মবিরতি পালন করেন৷ হাসপাতাল চত্বরে ধর্নায় বসে কর্মরত সকল সাফাই কর্মীরা৷ তাদের দাবি উনারা পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে সাফাই কর্মী হিসেবে কর্মরত৷ কিন্তু গত তিন মাস ধরে উনাদের প্রাপ্য বকেয়া বেতন পরিশোধ করছেন না মালিক কর্তৃপক্ষ৷
যার ফলে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সোমবার তারা ধর্নায় বসেন৷ যদিও পরবর্তীতে গোমতী জেলা বিএমএস কর্তৃপক্ষের দাবড়ানিতে জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কর্মরত শ্রমিকদের দাবি মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে জেলা হাসপাতালে সাফাই কর্মীরা তাদের গণধর্না প্রত্যাহার করে নেন৷
উল্লেখ্য, সোমবার জেলা হাসপাতালে সাফাই কর্মীরা গণধর্নায় বসতেই হাসপাতাল চত্বরে নোংরা আবর্জনা আর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র৷ এই অবস্থায় রোগীরা এক প্রকার নোংরা আবর্জনার মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে বাধ্য হয় জেলা হাসপাতালে৷