স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ জুন।। মাংস বিক্রিকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি সংঘটিত হয় পশ্চিম থানাধীন কালিকাপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম সমির দাস। মাংস বিক্রিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আগরতলা শহর সংলগ্ন কালিকাপুর এলাকায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে শিমুল দাস নামে এক যুবক। নিহত ব্যক্তির নাম সমীর দাস। বাড়ি কালিকাপুর দাসপাড়ায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় সমীর দাস একটি মাংসের দোকানে কাজ করতো।
দোকানের মালিকের নাম ভাস্কর দাস। গত শনিবার শিমুল দাস নামে এক যুবক দোকানে মাংস নিতে আসে। শিমুল দাস এর আগে আরও দু তিনজন মাংস দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু শিমুল দাস তাকে প্রথম মাংস দিয়ে দিতে চাপাচাপি করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরেই শিমুল দাস মাংস দোকানের কর্মচারী সমীর দাসকে বেধড়ক মারধর করে। তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকায় মঙ্গলবার আইজিএম হাসপাতাল থেকে তাকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার সকাল ৬ টা নাগাদ জিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্ত শিমুল দাস এর বিরুদ্ধে রামনগর আউটপোস্টে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শনিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মাংস বিক্রির দোকানের মালিক ভাস্কর দাস জানান তার সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। দোকানের মালিককেও সে হুমকি দিয়েছে।
অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি এবং নিহতের পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব খুনির পরিবারকে বহন করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান সমীর দাসের পরিবার আর্থিক দিক দিয়ে খুবই দুর্বল। সমীর দাসের চারটি সন্তান স্ত্রী এবং বৃদ্ধ মা রয়েছে। পরিবারে সমীর দাসের ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাকে হত্যার ফলে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।ঘটনা সম্পর্কে নিহত সমীর সমিরন দাসের নিকট আত্মীয় এবং তার স্ত্রী জানান এ ব্যাপারে থানায় মামলা করায় জিপি হাসপাতালে গিয়ে তাদেরকে হুমকি দিয়ে এসেছে অভিযুক্ত শিমুল দাস। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা দাবি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি অসহায় পরিবার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।পুলিশ জানিয়েছে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। এদিকে ময়নাতদন্তের পর মৃত দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কালিকাপুর এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অভিযুক্ত শিমুল দাস এলাকায় সমাজ দ্রোহী হিসেবে পরিচিত। এলাকাবাসীও তারপর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।